বিরোধী জোটের বৈঠক দেখে চাপে পড়ে এবার টনক নড়ল বিজেপির

বিজেপির এই পদক্ষেপ থেকেই স্পষ্ট ইঙ্গিত, একার শক্তিতে আর ভরসা নেই৷ লোকসভা ভোট জিততে শরিকদের তোয়াজ না করে গতি নেই৷

Must read

নয়াদিল্লি : গত দুদিন ধরে বেঙ্গালুরুর বৈঠক নিয়ে নানারকম টিকা–টিপ্পনী চালাচ্ছিলেন বিজেপি নেতারা৷ বিরোধী জোটের বৈঠক সম্পর্কে তাঁদের বিভিন্ন মন্তব্যে উঠে আসছিল চাপা উদ্বেগ৷ মুখে গুরুত্ব না দেওয়ার কথা বলেও বেঙ্গালুরুর বৈঠক যে কেন্দ্রের শাসকদলকে বিরাট চাপে ফেলেছে তা বোঝা গেল একই সময়ে ‘প্রায় লুপ্ত’ হয়ে যাওয়া এনডিএ–র শরিকদের ডেকে নিয়ে এসে বিজেপির বৈঠকের ঘোষণায়৷

আরও পড়ুন-বিরোধী বৈঠকের মাঝে তামিলনাড়ুর শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে ইডির হানা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, সরব ডিএমকে

গত লোকসভা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে এনডিএ ভুক্ত শরিকদলগুলিকে কার্যত একঘরে করে রেখে দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদির দল৷ মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে সরকারি নীতি নির্ধারণ, কোনও ক্ষেত্রেই গুরুত্ব পেতেন না এনডিএ–র তথাকথিত শরিকরা৷ গত চার বছরে শরিকদের নিয়ে কোনও বৈঠক ডাকারও প্রয়োজন মনে করেনি বিজেপি৷ সংখ্যার ঔদ্ধত্যে শরিকদলগুলিকে ‘ব্রাত্য’ করে রেখেছিল গেরুয়া শিবির৷ কিন্তু ঠেলায় না পড়লে বেড়াল গাছে ওঠে না! হিমাচল প্রদেশ ও কর্ণাটকে ভরাডুবির পর আগামী লোকসভা ভোট নিয়ে চিন্তায় মোদির দল৷

আরও পড়ুন-রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ভয়ঙ্কর-বিরল রোগ ALS-এর পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবার বাংলাতেই

পাটনা বৈঠকের সাফল্যের পর আরও বেশি সংখ্যক প্রতিনিধি নিয়ে বেঙ্গালুরুতে বিজেপি বিরোধী জোটের বৈঠক হচ্ছে৷ মুখে গুরুত্ব না দেওয়ার কথা বলেও চাপের মুখে বিরোধী বৈঠকের দিন মঙ্গলবারই নিজেদের শরিকদের নিয়ে বসতে চলেছেন বিজেপি নেতারা৷ রাজ্যে রাজ্যে অপারেশন কমলের পর দলবদলু নেতাদের পাশাপাশি লুপ্তপ্রায় বেশ কিছু শরিকদলের নেতাকে এই বৈঠকে শামিল করা হচ্ছে৷ বিরোধীরা বলছেন, বিরোধী শিবিরের দ্বিতীয় বৈঠকের আগে হঠাৎ করে নিজের শরিকের কথা মনে পড়ে গিয়েছে বিজেপির৷ এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে বেঙ্গালুরু জোট বৈঠক কতটা চাপে ফেলেছে গেরুয়া শিবিরকে৷

আরও পড়ুন-রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ভয়ঙ্কর-বিরল রোগ ALS-এর পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবার বাংলাতেই

মঙ্গলবার রাজধানী দিল্লির অশোকা হোটেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার নেতৃত্বে বৈঠকে এনডিএ–র ৩০টি দলের নেতারা হাজির থাকবেন বলে জানানো হয়েছে৷ এই দলগুলির মধ্যে অধিকাংশই অবশ্য বিভিন্ন রাজ্যের ক্ষয়িষ্ণুশক্তি ও নানা দলের বিক্ষুব্ধ শিবির৷ এর মধ্যে রয়েছে লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস), জিতনরাম মাজির হিন্দুস্তান আম মোর্চা, উপেন্দ্র কুশওয়ারের রাষ্ট্রীয় সমাজ পার্টি, মুকেশ সাহানির বিকাশশিল ইনসান পার্টির মতো কিছু স্থানীয় ও জাতপাতভিত্তিক দল৷ বিজেপির এই পদক্ষেপ থেকেই স্পষ্ট ইঙ্গিত, একার শক্তিতে আর ভরসা নেই৷ লোকসভা ভোট জিততে শরিকদের তোয়াজ না করে গতি নেই৷

Latest article