বন্যা পরিস্থিতি একাধিক জেলায়, পাশে প্রশাসন

Must read

ব্যুরো রিপোর্ট : অতিরিক্ত বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরের একাধিক জেলা। মালদহ, উত্তর দিনাজপুরের একাধিক এলাকায় তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি (Flood)। জলপাইগুড়িতে দোসর তিস্তার জল। আর তাতেই প্লাবিত হয়েছে একাধিক এলাকা। এসেছে মৃত্যুর খবরও। গজলডোবার তিস্তার ব্যারেজ থেকে উদ্ধার হয়েছে দু’জনের দেহ। মালবাজার, ওদলাবাড়ি, ক্রান্তি, ময়নাগুড়ি, জলপাইগুড়ি সদর ব্লক তিস্তার জলে প্লাবিত। বুধবার সবথেকে বিপর্যস্ত এলাকা গজলডোবায় যান মন্ত্রী উদয়ন গুহ, জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত জেলাশাসক রঞ্জন চক্রবর্তী এবং অন্যান্য আধিকারিকরা। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শামা পরভিন জানান, এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। ৩২৮৮ জনকে উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসা হয়েছে। জেলায় মোট ১৭টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। দুর্গতদের উদ্ধারের জন্য ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের কর্মী এবং সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের কাজে লাগানো হয়েছে। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বেরুবাড়ি এলাকার মানুষদের উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে আনা হয়েছে। ক্রান্তি ব্লকের চ্যাংমারি, চাপাডাঙা, ময়নাগুড়ি ব্লকের চারতার পাড়, পদমতি ১ অঞ্চল, মোতিয়ারচর এলাকার প্রায় ৮০০ জনকে ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। দেওয়া হয় খাবার ও প্রয়োজনীয় জিনিস। মালদহ পুর এলাকায় বন্যা পরিস্থতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন মালদহ জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া। এদিন তিনি ইংরেজবাজারের পুর এলাকার ৯ ও ১২ নং ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। সঙ্গে ছিলেন চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরি। জেলাশাসক কথা বলেন বন্যাকবলিত (Flood) এলাকার মানুষের সঙ্গে। বন্যাকবলিত মানুষকে ত্রাণ দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, মহানন্দা নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে নদী তীরবর্তী এলাকা। প্রতিবছর বর্ষাকালে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় পুরসভার ৯ ও ১২ এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকা। লাগাতার বৃষ্টির জেরে প্লাবিত হয়েছে বালুচর সহ মহানন্দা নদী তীরবর্তী এলাকা। জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানান, মহানন্দা নদী তীরবর্তী এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। উত্তর দিনাজপুরেও বহু এলাকা জলমগ্ন। দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে প্রশাসন। পুরসভার পক্ষ থেকে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ত্রাণ।

আরও পড়ুন- ‘রাজভবন চলো’ অভিযান: রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি জমা, ঘোষণা অভিষেকের

Latest article