দায়সারা ভাবে পালিত গান্ধী পুণ্যাহ

প্রার্থনার পর  ঝাঁটা হাতে আশ্রম চত্বর পরিষ্কার করে গান্ধী পুণ‍্যাহ দিনটি পালন করেন বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীরা।এবারও অনাড়ম্বরে পালিত হয় দিনটি।

Must read

সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : প্রার্থনার পর  ঝাঁটা হাতে আশ্রম চত্বর পরিষ্কার করে গান্ধী পুণ‍্যাহ দিনটি পালন করেন বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীরা।এবারও অনাড়ম্বরে পালিত হয় দিনটি। বিশ্বভারতীতে এখন এমনিতেই আন্দোলন চলছে। তারই মাঝে পড়ুয়ারা কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিষ্কার করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা বলেন, সবই তো বন্ধ করে রেখেছেন উপাচার্য। আমরা আমাদের মতো করে পরিষ্কার করি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আসল জঞ্জাল কী আমরা সবাই জানি। সেই জঞ্জাল মুক্ত না হলে বিশ্বভারতী বাঁচবে না।

আরও পড়ুন-জমিজট খুলতে এক জানালা

বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গেছে, মূলত গান্ধীজির অনুপ্রেরণায় বিশ্বভারতীতে এই দিবস পালন হয়। ১৯১৬ সালে ১০ মার্চ গান্ধীজি সাউথ আফ্রিকার ফিনিক্স স্কুল থেকে তাঁর কয়েকজন ছাত্র নিয়ে বিশ্বভারতীতে আসেন। তখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বভারতীতে ছিলেন না। তার আগে তিনি রবীন্দ্রনাথকে চিঠি দিয়ে অনুমতি চেয়ে নেন। বিশ্বভারতীতে ফিনিক্স স্কুলের ছাত্ররা কয়েকদিন থাকলেও, বাল গঙ্গাধর তিলকের মৃত্যুর কারণে তিনি বিশ্বভারতী ছেড়ে চলে যান। এরপর বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীরা দেখেন, ফিনিক্স স্কুলের ছাত্ররা নিজের হাতে সমস্ত কাজ নিজেরাই করছেন। এই ঘটনায় তাঁরা অনুপ্রাণিত হন। তারপর থেকে বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাই নিজেদের কাজ করতে থাকেন। তখন অনেক অভিভাবক আপত্তি করায়, শেষ পর্যন্ত কেবলমাত্র ক্যাম্পাস পরিষ্কারের মাধ্যমে এই দিনটি পালন করা হয়।

Latest article