দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশের নিচে

Must read

প্রতিবেদন : ফের ৫ শতাংশের নিচে নামল দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার (India’s GDP)। নরেন্দ্র মোদি সরকারের দাবি ছিল, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিক থেকে জিডিপি বৃদ্ধির হার হবে আশাব্যঞ্জক। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, যথারীতি মোদি সরকারের (Modi Government) ঢাক পেটানোই সার! জিডিপি বৃদ্ধি তো দূর অস্ত, বরং আর্থিক ঘাটতি রেকর্ড গড়েই চলেছে। পাশাপাশি মূল্যবৃদ্ধির হার ফের আকাশছোঁয়া। বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারে ধস। ডলারের বিনিময়ে টাকার মূল্য তলানিতে। আমদানির তুলনায় রফতানির পরিমাণ উদ্বেগজনকভাবে কমছে।

আরও পড়ুন: উষ্ণতম ফেব্রুয়ারি ছিল এবছর, তাপপ্রবাহের আগাম সতর্কতা

চলতি আর্থিক বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের জিডিপি (India’s GDP) বৃদ্ধির হার দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলেছে। অর্থনীতিবিদের অনুমান ছিল, চলতি অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৪.৬ শতাংশের মধ্যে থাকবে। কিন্তু সর্বশেষ যে সরকারি পরিসংখ্যান প্রকাশ হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমায় জিডিপি বৃদ্ধির হার কমে হয়েছে ৪.৪ শতাংশ। বৃদ্ধির এই হার অর্থনৈতিক মহলে তীব্র উদ্বেগ তৈরি করেছে। তবে শুধু জিডিপি নয়, উৎপাদন ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হারও কমেছে। একই পরিস্থিতি হোটেল এবং পর্যটন ক্ষেত্রেও। সরকারের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অনন্ত নাগেশ্বরণ অবশ্য ৭ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধির ব্যাপারে আশাবাদী। যদিও বাস্তব পরিস্থিতিতে নাগেশ্বরণের এই আশাকে মরীচিকা বলেই মনে হচ্ছে। কারণ চলতি আর্থিক বছরে প্রতিটি ত্রৈমাসিকেই লাগাতার কমে চলেছে জিডিপি বৃদ্ধির হার। এই প্রবণতাই অর্থনৈতিক মহলে আতঙ্ক বাড়িয়েছে। ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে জুন প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ১৩.৫ শতাংশ। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক সেটা নেমে আসে ৬.৩ শতাংশে। তৃতীয় ত্রৈমাসিকে সেটা আরও কমে ৪.৪ শতাংশ হয়েছে। ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ১২ লক্ষ কোটি টাকা। প্রশ্ন হল, কেন এই মন্দা? এর কারণ প্রধানত দু’টি। প্রথমত আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি এবং উৎপাদন শিল্পের চরম অবনতি ও বাণিজ্যিক ঘাটতি। রফতানি লাগাতার কমতে কমতে সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে।

Latest article