স্থায়ী পুনর্বাসন না দিয়ে শুরু বাড়িভাঙা

বাড়ি ভাঙার পর কী করবেন, কোথায় মাথা গুঁজবেন, কতদিনই বা হোটেলে থাকতে হবে, এসব চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে তাঁদের।

Must read

প্রতিবেদন: শুরু হল বউবাজার লাগোয়া দুর্গা পিতুরি লেনের ক্ষতিগ্রস্ত দুটি বাড়িভাঙার কাজ। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত ১৬ ও ১৬/১ নম্বর বাড়ি দুটি ভাঙার কাজ সোমবার সকাল থেকে শুরু করল কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশন লিমিটেড বা কেএমআরসিএল। জানা গিয়েছে, ওই দুটি বাড়ি ছাড়াও ১৫ নম্বর বাড়িটিও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কলকাতা পুরসভা অনুমতি দিলে ওই বাড়িটিও ভেঙে ফেলা হবে। দুর্গা পিতুরি লেনের ১৫ নম্বর বাড়িটিতে বিপজ্জনক বোর্ড ঝোলানো হবে কিনা তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে কেএমআরসিএল।

আরও পড়ুন-আইএনটিটিইউসি শ্রমিকরা বলবেন, নেতারা শুনবেন

রবিবার বৈঠকের পরে সোমবার সকাল থেকেই ১৬ এবং ১৬/১ নম্বর দুর্গা পিতুরি লেনে বাড়ি দুটি খালি করার কাজ শুরু হয়েছে। নিজের বাড়ি আচমকা খালি করতে বলায় বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। এত কম সময়ের নোটিশে বাড়ির যাবতীয় জিনিস নিয়ে কোথায় যাবেন, কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না বাসিন্দারা। ফলে মেট্রোর ভূমিকা নিয়ে তৈরি হয়েছে চরম অসন্তোষ। বাড়ির বাসিন্দাদের থাকার জন্য আপাতত হোটেলের ব্যবস্থা করেছেন মেট্রো কর্তারা।

আরও পড়ুন-বিজেপি প্রার্থীর আর্থিক প্রতারণা

যথাযথ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করেই কেন বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। বাড়ি ভাঙার পর কী করবেন, কোথায় মাথা গুঁজবেন, কতদিনই বা হোটেলে থাকতে হবে, এসব চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে তাঁদের। ২০১৯-এর পর ফের এক দফায় বউবাজারে বাড়িতে ফাটল দেখা দেওয়ায় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের ওপর ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কেএমআরসিএল-এর চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণেই একের পর এক বাড়িতে ফাটল দেখা দিচ্ছে বলেই অভিযোগ তাঁদের। রবিবারই পুরসভার আধিকারিক ও পুলিশকর্তারা ওই বাড়িগুলি ঘুরে দেখে যান। এরই মধ্যে সোমবার সকালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা বাড়িগুলির সর্বশেষ পরিস্থিতি খুঁটিয়ে দেখেন।

Latest article