স্কুলেও এভাবে সামনে দাঁড়িয়ে যে­তাম: এলগার

পাঁচ ঘণ্টা নয় মিনিটের ম্যারাথন ইনিংসে তিনি নিজেকে বারবার এটাই বলেছেন, তিনি ক্যাপ্টেন। তাই তাঁকেই দায়িত্ব নিতে হবে।

Must read

জোহানেসবার্গ, ৭ জানুয়ারি : পাঁচ ঘণ্টা নয় মিনিটের ম্যারাথন ইনিংসে তিনি নিজেকে বারবার এটাই বলেছেন, তিনি ক্যাপ্টেন। তাই তাঁকেই দায়িত্ব নিতে হবে। সামনে দাড়িয়ে দলকে টেনে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি ডিন এলগার। এই মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় ক্রিকেট নায়ক। বৃহস্পতিবার ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে ৯৬ নট আউট থেকে দলকে সাত উইকেটে জয় এনে দিয়েছেন। এই জয়ে ০-১ পিছিয়ে থাকা দল এখন সিরিজে ১-১ অবস্থায়। এই প্রথম ওয়ান্ডারার্স মাঠে ভারতকে হারাতে পারল দক্ষিণ আফ্রিকা।

আরও পড়ুন-ঋষভের সঙ্গে কথা বলবেন কোচ দ্রাবিড়

দ্বিতীয় টেস্টে ভারতীয় বোলিংয়ের যাবতীয় জারিজুরি থামিয়ে এলগার দলকে টেনে নিয়ে গিয়েছেন। তৃতীয় দিন বুমরার বল তাঁর হেলমেটে সজোরে ধাক্কা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার শামি-শার্দূলের বল তাঁর গায়ে লেগে কালশিটে দাগ ধরিয়ে দিয়েছে। তবু লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন এলগার। ম্যাচের পর তিনি বলেন, ‘‘স্কুলে পড়ার সময় ঠিক এভাবেই সামনে দাড়িয়ে পড়তাম। নিজেকে বলেছি, তুমি নিজের জন্য খেলছ না, দলের জন্য খেলছ। দলের জয় হল আসল ব্যাপার।”

আরও পড়ুন-প্রধানমন্ত্রীর সফরের রেকর্ড জমার নির্দেশ

এলগার আরও বলেছেন, বারবার শরীরে বল লাগলেও তিনি অবিচল ছিলেন। ‘‘সিনিয়র হিসাবে এই দায়িত্ব আমাকে নিতেই হত। বারবার নিজেকে বলেছি, তুমি দেশের জন্য খেলছ। এখানে ব্যাক্তিগত ব্যাপার বলে কিছু নেই।” তিনি দাবি করেন, এতে কেউ তাঁকে বোকা বলবে। কেউ সাহসী বলবে। তিনি দ্বিতীয় দলে থাকতে চান। যাতে তাঁকে দেখে অন্যেরা অনুপ্রাণিত হয়। এলগার জয়ের পথে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ খেলেছেন ডুসেন ও বাভূমার সঙ্গে। তিনি কৃতিত্ব দিয়েছেন তাঁদেরও। তবে অধিনায়ক হিসাবে এভাবে দলের পাশে থাকতে পারে এলগার বেশ খুশি। তাঁর মতে, এটা ছিল মরণ-বাঁচন ম্যাচ। যেখানে ভাল করতে পেরে তিনি সন্তুষ্ট। আর এই ইনিংসকে এলগার সেরা তিনে রাখতে চান। এলগার বলছেন, এই জয় দলের মধ্যে পজিটিভ বার্তা ছড়িয়ে দেবে। তবে তিনি সতর্কও। কারণ, সামনে আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট ম্যাচ রয়েছে। কেপটাউনে সিরিজের শেষ টেস্ট শুরু হবে মঙ্গলবার থেকে। যেখানে প্রথমবার সিরিজ জিততে ঝাঁপিয়ে পড়বে কিং কোহলির দল।

Latest article