বিজেপির কুনাট্যের রঙ্গমঞ্চ রাজভবন কুণালের তোপ

কুরাজনীতির চিত্রনাট্য লিখেই চলেছে বঙ্গ বিজেপি। সংগঠনের ভাঁড়ে মা ভবানী দশা। অমিত শাহ এসে ধমক দিয়ে যাচ্ছেন।

Must read

প্রতিবেদন : কুরাজনীতির চিত্রনাট্য লিখেই চলেছে বঙ্গ বিজেপি। সংগঠনের ভাঁড়ে মা ভবানী দশা। অমিত শাহ এসে ধমক দিয়ে যাচ্ছেন। তবুও জনবিচ্ছিন্ন বিজেপি নেতাদের সম্বিত ফিরছে না। কুনাট্যের কুশীলব রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যাঁদের আবার দলের সিংহভাগ কর্মীই নেতা বলে মানতে নারাজ। অগত্যা খবরে থাকতে তাঁদের ভরসা চক্রান্ত আর রাজভবন। যার সাম্প্রতিক নমুনা মিলল মঙ্গলবার। যার জেরে রাজভবনকে বিজেপির রঙ্গমঞ্চ বলে তীব্র কটাক্ষ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

আরও পড়ুন-আলেয়া ঘিরে অলৌকিকতার হুজুগ রিষড়ায়

এদিন বিকেলে হঠাৎই রাজ্যের ভোট-পরবর্তী হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তরা সঠিক ক্ষতিপূরণ পাননি, এই অভিযোগে রাজভবনে হাজির হন সুকান্ত-শুভেন্দুরা। সাজানো চিত্রনাট্য অনুযায়ী, রাজ্যপাল তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন। পরে মিডিয়ার সামনে শুরু করেন পরিচিত নাটুকেপনা। বলেন, রাজ্যের ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে তিনি চিন্তিত। বাংলায় ভেদাভেদের রাজনীতি চলছে। কেন? না তাঁর দাবি, রামপুরহাটে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হলেও অন্যান্য জায়গায় তা হয়নি। যেমন কাশীপুরের যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা। আর ঠিক এখানেই রাজ্যপালের দুরভিসন্ধি ধরা পড়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপাল ও বিজেপিকে তুলোধোনা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

আরও পড়ুন-বিশ্বভারতী অধ্যাপককে ফের শোকজ নোটিশ

তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, রাজভবনকে বঙ্গ বিজেপির রঙ্গমঞ্চে পরিণত করা হয়েছে। রাজ্যের ভোট-পরবর্তী হিংসার তদন্ত করছে সিবিআই। যদি সঠিক বিচার না-হয়, তার জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই কারণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাড়ির সামনে ওঁদের ধরনায় বসা উচিত। সঙ্গে যাওয়া উচিত রাজ্যপালেরও। এই ধরনের অভিসন্ধিমূলক কর্মসূচির কারণে রাজভবনের অলিন্দ চূড়ান্ত কলুষিত হল বলেও জানান কুণাল। তাঁর সংযোজন, বিজেপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে, এইসব নাটক করে খবরে থাকতে চাইছে। কাশীপুরের ঘটনায় কমান্ড হাসপাতালের রিপোর্টেই দেখা যাচ্ছে মৃত্যু গলায় ফাঁস লেগেই হয়েছে। শরীরে কোথাও আঘাতের চিহ্ন নেই। অথচ অমিত শাহ রাজ্য এসে আগেই রাজনৈতিক খুন বলে সরব হলেন। বিজেপিও তা নিয়ে জলঘোলা করল। এবার তাঁদের উচিত জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য ক্ষমা চাওয়া।

Latest article