গঙ্গাসাগর সাফাইয়ে মন্ত্রী বঙ্কিম

ফুলে কপিলমুনির মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য পুজোর সামগ্রিক থেকে শুরু করে অন্যান্য বিশেষ কাজে পুণ্যার্থীরা প্লাস্টিকের তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র ব্যবহার করে।

Must read

সুস্মিতা মণ্ডল, ডায়মন্ড হারবার : স্বচ্ছ ও পরিবেশবান্ধব গঙ্গাসাগর মেলা উপহার দিতে লাগাতার প্রচার চালাচ্ছেন মন্ত্রী, বিধায়ক থেকে সরকারি আধিকারিকরা। মন্ত্রী, বিধায়ক, আধিকারিকরা রাস্তায় নামলেন ঝাঁটা হাতে। টানা দু’দিন চলল এই কর্মসূচি। শনিবার দুপুরে কপিলমুনির মন্দির চত্বরের পাশাপাশি গঙ্গাসাগর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় প্রশাসনের তরফ থেকে প্লাস্টিক সাফাই অভিযান করা হয়।

আরও পড়ুন-বিজেপি টাকা দিয়ে প্রার্থী কিনেছে

এই সাফাই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল, গঙ্গাসাগর বকখালি উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিক শম্ভুদ্বীপ সরকার ও গঙ্গাসাগর কোস্টাল থানার ওসি তরুণ রায়-সহ ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের মহারাজরা। রবিবার কাকদ্বীপের লট নম্বর আটেও প্লাস্টিকমুক্তর ডাক দিয়ে ঝাঁটা হাতে রাস্তায় নামেন বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা। ছিলেন বিডিও দিব্যেন্দু সরকার। প্রত্যেক বছর গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম হয় গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণে।

আরও পড়ুন-পৌষমেলার প্রস্তুতি জোরকদমে

গত বছর কোভিড পরিস্থিতির কারণে পূণ্যার্থীর সংখ্যা তুলনামূলক কম হলেও এবছর সেই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। ফুলে কপিলমুনির মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য পুজোর সামগ্রিক থেকে শুরু করে অন্যান্য বিশেষ কাজে পুণ্যার্থীরা প্লাস্টিকের তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র ব্যবহার করে। এ-বছর গঙ্গাসাগর মেলাকে প্লাস্টিক বর্জন মেলা হিসেবে চিহ্নিত করতে চলেছে জেলা প্রশাসন। তাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার সমস্ত রাস্তার দু’পাশে ও মেলা প্রাঙ্গণে যে সমস্ত দোকান আছে, সেই সমস্ত দোকানের ব্যবসায়ীদের প্লাস্টিক বর্জন করে বিশেষ ধরনের কাগজের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন-দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের কাজ শুরু

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই কাগজের ব্যাগ বণ্টন করা শুরু করা হয়েছে ব্যবসায়ীদের। এ ছাড়া যে সমস্ত তীর্থযাত্রী প্লাস্টিক ব্যাগ নিয়ে গঙ্গাসাগরে আসবেন, তাঁদের কাছ থেকে স্বেচ্ছাসেবকরা সেই প্লাস্টিক ব্যাগ নিয়ে তার পরিবর্তে কাগজের ব্যাগ তুলে দেবেন। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, ‘গঙ্গাসাগর মেলাকে পরিবেশবান্ধব মেলা ও প্লাস্টিক বর্জন মেলা হিসেবে ইতিমধ্যে চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে প্রশাসনিক স্তরে কয়েকটি বৈঠক আমরা সেরেছি। সমুদ্রসৈকত থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত কোনও দোকানে প্লাস্টিকের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করা যাবে না। ইতিমধ্যেই বহু ব্যবসায়ীকে আমরা বিশেষ ধরনের কাগজের ব্যাগ প্রদান করেছি। আগামী দিনে আরও করা হবে।’

Latest article