ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে একাধিক কনসেশন, গরিবকে ভাতে মারছে রেল

কিছুদিন আগে লোকসভায় রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই পরিষেবা এই মুহূর্তে বন্ধ আছে। কোভিডের কারণে রেলের রাজস্ব আদায় কমে গিয়েছে।

Must read

প্রতিবেদন : দুটো বছর করোনা সংক্রমণের জেরে আমজনতার রোজগার তলানিতে। গোটা দেশের অর্থনীতিকে ভেঙে ফেলেছে মোদি সরকার। যারা আচ্ছে দিনের স্লোগান তুলে ক্ষমতায় এসেছিল, আজ তাদের বিরুদ্ধে আমজনতার স্লোগান উঠেছে বুরা দিন আগয়া। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গরিব মানুষের রুটিরুজির জন্য চালু করেছিলেন ‘ইজ্জত মান্থলি’ প্রকল্প। এরসঙ্গে অন্য একটি দিকও ছিল, তা হল গরিব মানুষেরা যাতে সম্মানের সঙ্গে লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করতে পারেন।

আরও পড়ুন-বন্যা এলাকার নতুন মানচিত্র

কিন্তু করোনাকাল কাটিয়ে এখনও রেলে চালু হয়নি এই পাস। লোকাল ট্রেন পরিষেবা পুরোদমে শুরু হয়ে গেলেও অন্যান্য পাসের মতো গরিব মানুষের জন্য এই পাস এখনও চালু করেনি রেল। পাস চাইতে গেলে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে কাউন্টার থেকে। ফলে রেলভ্রমণ করতে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে গরিব নিত্যযাত্রীদের। অথচ এই শ্রেণির মানুষের জন্যই এই পাস চালু করেছিলেন দেশের প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কবে থেকে এই মান্থলি চালু হবে তাও কেউ নির্দিষ্ট ভাবে বলতে পারছে না। নিম্ন আয়ের অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক–কর্মচারীদের কথা ভেবেই এই পাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রের জনবিরোধী মোদি সরকার কবে এই পরিষেবা চালু করবে সেদিকেই তাকিয়ে গরিব মানুষ।

আরও পড়ুন-উপাচার্য নিগ্রহের রিপোর্ট তলব নবান্নের

কিছুদিন আগে লোকসভায় রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই পরিষেবা এই মুহূর্তে বন্ধ আছে। কোভিডের কারণে রেলের রাজস্ব আদায় কমে গিয়েছে। ফলে কোনও ধরনের কনসেশন এখন আর নতুন করে দেওয়া হচ্ছে না। কবে থেকে তা শুরু হবে তাও কিছু জানানো হয়নি। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেসব জনমুখী রেলপ্রকল্পগুলি চালু করেছিলেন তার অনেকগুলিই কেন্দ্রের মোদি সরকার বন্ধ করে দিয়েছে অথবা অর্থ বরাদ্দ কমিয়ে দিয়ে হিমঘরে পাঠিয়ে দিয়েছে। এবার গরিব মানুষের জন্য কনসেশন নিয়েও একই ভূমিকায় নেমেছে কেন্দ্র।

Latest article