পলি ফার্মেসি কী
পলি ফার্মেসি হল একজন রোগী যদি পাঁচ বা পাঁচের বেশি ওষুধ খান তাহলে আমরা তাকে পলি ফার্মেসি বলি। কত রোগীর মধ্যে আমরা পলি ফার্মেসি দেখে থাকি সেটা নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা হয়েছে এবং সেই গবেষণা থেকে দেখা যাচ্ছে যে এই পলি ফার্মেসি বিষয়টি দেখা যায় মূলত যাদের বয়স ৬৫-র বেশি কারণ ডেভেলপড কান্ট্রিতে সাধারণভাবে জেরিয়াট্রিক পপুলেশন বা বয়স্ক রোগী তাঁরাই, যাঁদের বয়স ৬৫-র বেশি। যদিও আমরা ভারতে এই বয়ঃসীমাটা রেখেছি ৬০ বছর। এই দেশে ৬০ বছরের বেশি মানুষদের মধ্যে দেখা গেছে পলি ফার্মেসির ব্যাপকতা প্রায় পঞ্চাশ শতাংশর কাছাকাছি। অর্থাৎ প্রতি একশো জন বয়স্ক রোগীর মধ্যে পঞ্চাশজন পাঁচ বা পাঁচের বেশি ওষুধ খাচ্ছেন। আর একটি পরিভাষা আমরা ব্যবহার করে থাকি পলি ফার্মেসির পরেই সেটা হল হাইপার পলি ফার্মেসি বা এক্সেসিভ পলি ফার্মেসি। সেক্ষেত্রে দশে বা দশের বেশি যদি কেউ নিয়মিত ওষুধ খায় তাঁকে বলে এক্সেসিভ বা হাইপার পলি ফার্মেসি। এই পরিসংখ্যানে দেখা গেছে প্রায় ৩০ থেকে ৩১ শতাংশ বয়স্ক রোগী এই হাইপার পলি ফার্মেসির অন্তর্গত।
আরও পড়ুন-মেডিসিন অ্যাডহেয়ারেন্স, সাইড এফেক্ট দূর করুন
বিদেশের পরিসংখ্যান
ভারতের পর যদি আমরা এবার আটলান্টিকের দু’দিক অর্থাৎ একদিকে ইউরোপ এবং আর একদিকে আমেরিকা সেখানকার পরিসংখ্যান বিচার করি, বিশেষত ইউরোপের ক্ষেত্রে সুইডেনে একটি বড় স্টাডি হয়েছে তাতে দেখা গেছে ওদের বয়স্ক জনসংখ্যার ৪৪ শতাংশ পলি ফার্মেসির অন্তর্গত এবং হাইপার পলি ফার্মেসি অন্তর্গত বয়স্ক রোগী প্রায় ১২ শতাংশ। আমেরিকাতেও কিন্তু পরিসংখ্যানটা ইউরোপের মতোই। ওখানেও প্রায় ৪৪ শতাংশ বয়স্ক রোগীর মধ্যে পলি ফার্মেসির দেখা যায়। আমরা যদি সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে পলি ফার্মেসির সংজ্ঞা বলি তাহলে বলব পাঁচ বা পাঁচের বেশি ওষুধ খেলে সেটা পলি ফার্মেসি। এবার মনে রাখা জরুরি এই ওষুধের মধ্যে কিন্তু প্রেসক্রিপশন ছাড়াও কিন্তু আমরা অনেক ওষুধ খাই সেগুলোকেও এর মধ্যে ধরতে হবে। এর পাশাপাশি আমরা অনেক ট্রাডিশনাল ওষুধ বা অল্টারনেটিভ মেডিসিন আমরা নিয়ে থাকি যেমন হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদ, এগুলোকেও কিন্তু পলি ফার্মেসির মধ্যেই ধরতে হবে।
আরও পড়ুন-বুমেরাং সমালোচনা, দুরবস্থা ডবল ইঞ্জিন বিজেপি রাজ্যের শিক্ষায় শীর্ষে বাংলা
পোটেনশিয়াল ইনঅ্যাপ্রোপিয়েট প্রেসক্রাইবিং
অনেকের মধ্যে একটা ধারণা আছে পলি ফার্মেসি যেন একটা পাপ বা খারাপ কিছু। এটা আমাদের জন্য ক্ষতিকারক। কিছু কিছু চিকিৎসকও হঠাৎ করে যদি শোনেন পলি ফার্মেসি তাহলে ধরে নেন একটা খারাপ বিষয়। এক্ষেত্রে বলব পলি ফার্মেসি মানেই কিন্তু খারাপ নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পলি ফার্মেসিও প্রয়োজনীয়। ধরা যাক যদি কোন একজন রোগী, তাঁর অনেকগুলো রোগ রয়েছে, যেমন, তিনি ডায়াবেটিসে ভুগছেন, ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজ রয়েছে, নিউরোপ্যথি রয়েছে। এবার প্রতিটা রোগের জন্যই তো তাঁকে হয়তো দুটো বা তিনটে করে ওষুধ খেতে হচ্ছে। তাহলে সেটা কি খারাপ বলব? একেবারেই নয়। এইজন্য অনেক সময় বিশেষ বয়স্ক রোগীর ক্ষেত্রে আমরা একটা পরিভাষা বহুক্ষেত্রেই ব্যবহার করে থাকি যে ‘পোটেনশিয়ালি ইনঅ্যাপ্রোপ্রিয়েট প্রেসক্রাইবিং’। আমাদের পলি ফার্মেসির থেকেও বেশি জোর দেওয়া দরকার আমরা যে ওষুধগুলো খাচ্ছি সেটি আমার জন্য অপ্রয়োজনীয় কি না তা বোঝা। সেই ওষুধের অপ্রয়োজনীয়তা বোঝার জন্য সাধারণভাবে আমরা কিছু বিষয়ের উপর জোর দিই। আমরা যে ওষুধগুলো প্রেসক্রাইব করলাম তার কার্যকারিতা আর সেই ওষুধের রিস্ক এই দুটোর তুল্যমূল্য বিচার করা এবং তখন যদি দেখা যায় ওষুধটি খেলে যতটা না লাভ তার থেকে রিস্ক বেশি, তখন আমরা তাকে পোটেনশিয়ালি ইনঅ্যাপ্রোপিয়েট প্রেসক্রাইবিং বলে থাকি। তাই পলি ফার্মেসির থেকেও এই বিষয়টাকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে এবং সেই জন্য যখনই আমরা কোনও চিকিৎসকের কাছে যাব সেখানে আমরা আগে আর কোন কোন চিকিৎসককে দেখিয়েছি এবং কী কী ওষুধ খাচ্ছি, বা প্রেসক্রিপসন ছাড়া যদি কোনও ওষুধ খাই সেগুলো সম্পূর্ণ বর্তমান চিকিৎসককে জানাতে হবে। সেই সব ওষুধের লাভ এবং ক্ষতির রেশিও তিনি অনুধাবন করবেন এবং যদি মনে করেন সেই ওষুধে ক্ষতি বেশি লাভের তুলনায় তাহলে সেই নির্দিষ্ট ওষুধটি বাদও দিতে পারেন। তাই আমরা যে ওষুধ ব্যবহার করছি তার প্রয়োজনীয়তার উপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। এটাই কিন্তু আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের লক্ষ্য।
আরও পড়ুন-বাংলাই মডেল বলল এবার নীতি আয়োগ, নাকাশিপাড়া আইটিআইকে কেন্দ্রের স্বীকৃতি
কেন ক্লিনিক্যাল ফার্মাকোলজি
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ক্লিনিক্যাল ফার্মাকোলজি। সেই ক্লিনিক্যাল ফার্মাকোলজির যে নীতিগুলো রয়েছে আমাদের আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের যাঁরা ছাত্র বা যাঁরা প্র্যাকটিস করছেন তাঁদের সেগুলোর উপর জোর দেওয়া হয়।
WHO-র পরামর্শ
WHO-র ক্ষেত্রে একটি নাম্বারের কথা বলা হয় যখন একজন অ্যাম্বুলেটরি পেশেন্ট মানে যে রোগী হসপিটালাইজড নন, বাড়িতে রয়েছেন, তাঁর ক্ষেত্রে যদি একটা রোগ থাকে কিন্তু তিনি যদি ওই এক রোগে দুয়ের বেশি ওষুধ খান তাহলে সেটাকে ধরে নেওয়া হবে তাঁর মেডিকেশন লোড বেশি হয়ে যাচ্ছে এবং এটা পলিফার্মেসি তাই অ্যাম্বুলেটরি পেশেন্ট যদি একটি রোগে ভোগেন তাহলে WHO রেকমেন্ড করছে যেন দুয়ের বেশি ওষুধ একটি রোগের জন্য যেন ব্যবহার না করা হয়। অবশ্যই এক্ষেত্রে কিছু একসেপশন কেস রয়েছে যেমন টিউবারকুলোসিস, এইচআইভি এডস ইত্যাদি রোগ। এই সব রোগের ক্ষেত্রে একের বেশি ওষুধ লাগে। তাহলে পলি ফার্মেসি বলতে আমরা সাধারণভাবে যেটা বুঝতে পারছি অনেক ওষুধ লেখা হচ্ছে অর্থাৎ ওভার প্রেসক্রাইবিং। কিন্তু, অনেক স্টাডিতে কিন্তু এটাও জানা গেছে পলি ফার্মেসির জন্য যেটা হয় আন্ডার প্রেসক্রাইবিং-এর অর্থ অনেক ওষুধ খেতে গিয়ে আসলটাই খেতে ভুলে যাচ্ছি। পলি ফার্মেসির সঙ্গে আরও একটা বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ অ্যাডহেয়ারেন্সের সমস্যা। কারণ আমি যদি ওষুধই না খাই তবে ফল কীভাবে পাব। আর পলি ফার্মেসিতে ওষুধের সংখ্যা বেশি ফলে খেতে ভুলে যাওয়া স্বাভাবিক তাই এটাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন-জলদাপাড়ায় পর্যটকের গাড়িতে গন্ডারের হামলা, উদ্ধার হল চিতা
ওষুধ ও প্রেসক্রিপশনে সমন্বয়সাধন
আমরা অনেক সময় অনেক রোগে ভুগি, যেটাকে আমরা কো-মর্বিডিটি বলি। তখন সুপারস্পেশালিস্টকে দেখাই। ধরুন, একজন গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্টকে দেখাচ্ছি বা হরমোনের সমস্যার জন্য এন্ডোক্রিনোলজিস্টকে দেখালাম। আবার হার্টের সমস্যার জন্য কোনও কার্ডিওলজিস্টকে দেখালাম, এবার প্রত্যেকে প্রেসক্রিপশন করলেন। সেখানে দেখতে হবে প্রত্যেক ওষুধের সঙ্গে কোনও কমন খারাপ ইন্টারাকশন আছে কি না বা একই ধরনের ওষুধ দিয়ে ফেলছেন কি না। এক্ষেত্রে যেটা দরকার একটা জায়গায় ওষুধগুলোকে রিকনসাইল করা বা প্রেসক্রিপশনগুলোর মধ্যে একটা সমন্বয়সাধন করা যাতে ওষুধ ওভারল্যাপ না হয়ে যায় বা ওষুধে ওষুধে পরস্পরের ওপর ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া না হয়। সেটার সুনির্দিষ্ট যে সমাধান সেই পরিভাষাকে বলা হয় ক্লিনিকাল ফার্মাকোলজি রিকনসিলিয়েশন। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ তাঁদের জন্য, যে বয়স্ক ব্যক্তিরা কো-মর্বিডিটিতে ভুগছেন। প্রেসক্রিপশনের সমন্বয়সাধন করতে এবং রিস্ক কমাতে ক্লিনিকাল ফার্মাকোলজিস্টদের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। যদিও বিদেশে এই ধরনের সাপোর্ট অনেক বেশি রয়েছে কিন্তু আমাদের দেশে দুর্ভাগ্যবশত এই সচেতনতা কম। এই সাপোর্ট এখানে কাউকে নিতে দেখা যায় না।
আরও পড়ুন-গ্রামবাসীরা নিশীথকে তাড়ালেন ঘাড়ধাক্কা দিয়ে, সুকান্তও বিপাকে
অ্যান্টিকুলিজেনিক বার্ডন
এই নিয়ে কলকাতা মিউনিসিপ্যালিটির অন্তর্গত কিছু ক্লিনিকাল ফার্মাকোলজি ক্যাম্প করা হয়। যেখানে ৩০৫ জন বয়স্ক রোগীকে দেখা হয়। এর থেকে যেটা দেখা গিয়েছিল প্রায় সাতাশ শতাংশ রোগীর পলি ফার্মেসি ছিল। তাঁদের মধ্যে পঞ্চাশ শতাংশ বয়স্ক রোগীর পোটেনশিয়াল ইনঅ্যাপ্রোপিয়েট প্রেসক্রাইবিং দেখতে পাই। আর একটি যে বিষয় উঠে এসেছিল যে আমরা সাধারণভাবে প্রেসক্রিপশনে অ্যান্টিকুলিনার্জিক বার্ডন বলে একটি জিনিসকে ক্যালকুলেট করি। এর অর্থ হল কিছু ওষুধ আছে যার এই অ্যান্টিকুলিনার্জিক প্রপার্টি রয়েছে এই প্রপার্টি ক্যালকুলেশনের কিছু স্কিল রয়েছে আমরা সেটিকে ক্যালকুলেট করে দেখতে পাই যে পলি ফার্মেসি যাঁদের আছে তাঁদের এই অ্যান্টিকুলিনার্জিক বার্ডেনটাও বেশি থাকে। কী এই অ্যান্টিকুলিনার্জিক বার্ডেন? এটা হল যদি কোনও পেশেন্ট বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাচ্ছেন তার মধ্যে কিছু কিছু ওষুধের একটা অ্যান্টিকুলিনার্জিক প্রপার্টি থাকে। সেই প্রপার্টির ভিত্তিতে আমরা সেই ওষুধগুলোকে স্কোরিং করে থাকি। ওয়ান, টু বা থ্রি। এক্ষেত্রে দেখা যায় সেই স্কোর তিনের বেশি হলে সেক্ষেত্রে একটি বিপরীত প্রতিক্রিয়া হতে পারে যেমন রোগী পড়ে যেতে পারে, ভুলে যাবার প্রবণতা আসতে পারে, হসপিটালাইজেশনের রিস্ক বেড়ে যেতে পারে এবং ওভার অল ফাংশনাল ক্যাপাসিটির ওপর নেগেটিভ প্রভাব আসতে পারে। এই বিষয়টা কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই যাঁদের অ্যান্টিকুলিনার্জিক বার্ডন তিনের বেশি, তাঁদের ক্ষেত্রে প্রেসক্রিপশন রি-চেক করা খুব দরকার। দেখা দরকার এই বার্ডেন কমানো সম্ভব হচ্ছে কি না।
আরও পড়ুন-বিজেপি রাজ্যে প্রিন্সিপালকে পুড়িয়ে মারল ছাত্র
কার্ডিয়াক অটোনমিক নিউরোপ্যথি
এক্ষেত্রে আরও দেখা যাচ্ছে যাঁদের অ্যান্টিকুলিনার্জিক বার্ডেন তিনের বেশি, সেই বয়স্কদের কার্ডিয়াক অটোনমিক নিউরোপ্যাথির সম্পর্ক রয়েছে। যা একটি খারাপ কমপ্লিকেশন। যাঁদের পলি ফার্মেসি আছে তাঁদেরও কার্ডিয়াক অটোনমি নিউরোপ্যাথির সঙ্গে একটা সমন্বয় দেখতে পাই। কার্ডিয়াক অটোনমিক নিউরোপ্যাথির ক্ষেত্রে যে সমস্যা হতে পারে প্রধানত সাডেন কার্ডিয়াক ডেথ হয়ে যেতে পারে, তাছাড়া ব্লাড প্রেশার ফল করে যেতে পারে, মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়া, হার্ট রেট যে রিদমে চলার কথা তাতে ইররেগুলারিটি আসতে পারে, ইত্যাদি বিভিন্ন সিম্পটম আসতে পারে। কাজেই এই দিকগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া দরকার।
আরও পড়ুন-ইয়োর অনার বা মাই লর্ড নয়, শুধুই স্যর বলুন
কী করবেন
এই বিষয়ে যেটা গুরুত্বপূর্ণ তা হল জেরিয়াট্রিক পেশেন্ট বা বয়স্ক রোগীরা কী ওষুধ খাচ্ছেন সেটা অবশ্যই জানতে হবে। তাঁদের যদি পলি ফার্মেসির সঠিক প্রয়োজন থাকে তবে অবশ্যই ওষুধ খেতে হবে। এমন ব্যাপার নয় যে আমার পলি ফার্মেসি রয়েছে বলে আমি ইচ্ছেমতো ওষুধ বন্ধ করে দিলাম। তাহলে তার ফলও কিন্তু মারাত্মক হবে। তাই যাঁরাই পলি ফার্মেসিতে রয়েছেন তাঁরা নিজে থেকে ওষুধ বন্ধ করবেন না। বন্ধ করার হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঠিক করবেন। আমরা যদি পাঁচ-সাতটা ওষুধ খাই তাহলে হয়তো একটা ভুলে যাই। যেটা ভুলছি সেটাই হয়তো খুব গুরুত্বপূর্ণ তাই সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এক্ষেত্রে যাঁরা এল্ডারলি কেয়ারগিভার তাঁদের দায়িত্ব খুব বেশি। তাঁদেরই এটা লক্ষ্য রাখতে হবে।
আরও পড়ুন-আইসিসি ট্রফি জিতিনি বলেই আমি ব্যর্থ নেতা?
ক্লিনিকাল ফার্মাকোলজি ক্লিনিক
হু এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ ইউএস-তে এটা বলা হয়েছে যে ক্লিনিকাল ফার্মাকোলজি দ্বারা পরিচালিত যে রুটিন মেডিকেশন রিভিউ অর্থাৎ কী ওষুধ খাচ্ছেন জেরিয়াট্রির পেশেন্টরা তার একটা রিভিউ করা যেখানে দরকার অপ্রয়োজনীয় ওষুধকে বাদ দেওয়া এবং বিভিন্ন স্পেশালিস্টদের ওষুধগুলোর মধ্যে সমন্বয়সাধন করানো। আমাদের দেশে এই ধরনের সাপোর্ট দরকার। এক্ষেত্রে একটা বিষয় বলতে চাই যে পশ্চিমবঙ্গ কিন্তু ভারতবর্ষকে পথ দেখিয়েছে। তার কারণ এখানে প্রথম এরকম ক্লিনিকাল ফার্মাকোলজি রিকনসিলিয়েশন ক্লিনিক তৈরি করা গেছে প্রফেসর শান্তনু কুমার ত্রিপাঠীর গাইডেন্সে স্কুল অফ ট্রপিকাল মেডিসিন হাসপাতালে। ২০১৭ সাল থেকে এই ক্লিনিকাল ফার্মাকোলজির আউটডোর চলছে প্রত্যেক মঙ্গল ও শনিবার। এটা ভারতবর্ষে প্রথম, তবু বলব, সাধারণ মানুষের মধ্যে এখনও সচেতনতার অভাব রয়েছে। আরও সচেতনতা বৃদ্ধি দরকার।
অনুলিখন : শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী