দিনমজুরি করতে যান বাবা–মা, বোনকে নিয়ে স্কুলে খুদে পড়ুয়া

মেইনিনসিংলু পামেই নামে এই ছাত্রী মণিপুরের তামেংলংয়ের বাসিন্দা। ভিডিও ভাইরাল হতেই খুদে পড়ুয়ার বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে প্রশাসন৷

Must read

প্রতিবেদন : ১০ বছরের মেয়ে মেইনিনসিংলু পামেই। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে সে। আর পাঁচটা সাধারণ শিশুর সঙ্গে তার হয়তো খুব একটা তফাত নেই। কিন্তু তার মানসিকতা ও লেখাপড়ার প্রতি একাগ্রতা নজর কাড়ার মতো। সম্প্রতি এক ভিডিও–র দৌলতে খুদে পড়ুয়ার নিষ্ঠা দেখে ধন্য ধন্য করছেন নেট–নাগরিকরা৷

আরও পড়ুন-উন্নয়নে এগিয়ে রাজ্য

পামেইয়ের মা-বাবা কৃষিজমিতে কাজ করেন। মাঠের কাজে যাওয়ার আগে দুধের শিশু ছোট মেয়েকে একরত্তি পামেইয়ের কাছে রেখে যান তাঁরা৷ এদিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় স্কুল চালু হয়ে গিয়েছে। তাই স্কুল কামাই করা যাবে না। অথচ বাবা–মাকে যেতে হয় মাঠে কাজ করতে৷ তাই ছোট্ট বোনকে সঙ্গে নিয়েই পামেই স্কুলে যায়। বোনকে কখনও কোলে নিয়ে কখনওবা পাশে শুইয়ে রেখে ক্লাসে পড়াশোনা করে। আর এই বেনজির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ভাইরাল।

আরও পড়ুন-টি-টিম্বার-ট্যুরিজমে বিশেষ গুরুত্ব, রাজ্যকে পাশে চায় হামরো

মেইনিনসিংলু পামেই নামে এই ছাত্রী মণিপুরের তামেংলংয়ের বাসিন্দা। ভিডিও ভাইরাল হতেই খুদে পড়ুয়ার বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে প্রশাসন৷ পরে রাজ্যের পরিবেশ ও শক্তিমন্ত্রী জানান, পড়াশোনায় ওই শিশুটির অধ্যবসায় দেখে তিনি মুগ্ধ৷ খুদে পড়ুয়ার বাবা–মাকে বলেছেন, পামেইকে ইম্ফলে পাঠাতে। প্রশাসন তার শিক্ষার দায়িত্ব নেবে৷ চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীর মা–বাবা জানিয়েছেন, তাঁরা দিনমজুরি করে সংসার চালান। ছোট মেয়েকে দেখাশোনার ভার থাকে ১০ বছরের পামেইয়ের উপর। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর এখন স্কুল খুলে গিয়েছে। পামেই কোনওভাবেই স্কুল কামাই করতে চায় না। সে কারণে আমরা মাঠের কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পর পামেই বোনকে নিয়েই স্কুলে গিয়েছে।

Latest article