উচ্ছ্বাসে বেপরোয়া ট্রেনযাত্রীরা. মাস্কবিহীন যাত্রীদের জরিমানা করল রেল পুলিশ

Must read

প্রতিবেদন : প্রায় ছয় মাসের দীর্ঘ বিরতির পর গতকাল থেকে রাজ্যে পুরোদমে লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু হয়েছে। স্বস্তিতে নিত্যযাত্রীরা। সোমবার সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে, হাওড়া-শিয়ালদা শাখার সব স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। তবে দূরত্ববিধি মেনে চলা বা অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলার কোনও ছবি আজ প্রায় কোথাও দেখা যায়নি। তবে কোভিড বিধি অক্ষরে অক্ষরে পালন করার বিষয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলতে চায় রেল। রাজ্য অবশ্য অনেক আগেই এ ব্যাপারে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
তবে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ায় খুশি ট্ট্রেনে বিভিন্ন জিনিসের বিকিকিনি করা হকাররা। পূর্ব রেলের শেওড়াফুলি স্টেশনে হকাররা ট্রেনের সামনে নারকেল ফাটিয়ে পুজো করেন। শিয়ালদা, হাওড়া শাখার বিভিন্ন স্টেশনে হকার ইউনিয়নের তরফে যাত্রীদের মধ্যে মাস্ক বিলি ও স্যানিটাইজার স্প্রে করার মতো কর্মসূচি নিতে দেখা গিয়েছে। হাওড়া ডিভিশনে পূর্ব রেলের ৪৮৮টি ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলে ১৯১টি ট্রেন সোমবার চলেছে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। শিয়ালদা শাখায় ৯২২টি ট্রেন চলছে। সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন পূর্ব রেলের হাওড়া ও শিয়ালদা শাখায় ঠিকঠাকই চলছিল লোকাল ট্রেন পরিষেবা।

আরও পড়ুন : খরদহ থেকে গোসাবা, আত্মবিশ্বাসী প্রত্যেক তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী

সমস্যার শুরু হয় ব্যান্ডেল-কাটোয়া লাইনে। অভিযোগ, অফিস টাইমে একটি ট্রেন ইসলামপাড়া হল্ট স্টেশনে না দাঁড়িয়ে থ্রু চলে যায়। ফলে উত্তেজিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। তাঁরা লাইনে নেমে অবরোধ শুরু করে দেন। মহিলা যাত্রীরাও শামিল হন রেল অবরোধে। নিত্যযাত্রীদের প্রশ্ন, এতদিন পর লোকাল ট্রেন চালু হওয়ার পর গ্যালপিং ট্রেন চললে লাভ কী? সব স্টেশনে ট্রেন না দাঁড়ালে সমস্যা বাড়বেই। ফলে এদিন ব্যান্ডেল-কাটোয়া শাখায় পরপর স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। চরম সমস্যায় পড়েন অফিসযাত্রীরা। বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ চলার পর আরপিএফ অবরোধকারীদের হঠিয়ে দেয়। একই সমস্যায় পূর্ব বর্ধমানের কালনা, ধাত্রীগ্রাম, সমুদ্রগড় স্টেশনে দু’ঘণ্টা ধরে স্তব্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ অবরোধে চরম অসুবিধার সম্মুখীন নিত্যযাত্রীরা। পাশাপাশি স্টেশনগুলিতেও ছিল তুমুল ভিড়। অপরদিকে শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার মধ্যমগ্রাম স্টেশনে সিগন্যাল প্যানেলে সমস্যা দেখা দেয় সোমবার সকালে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্যানেল ইন্টারলকিং সিস্টেম ঠিকমতো কাজ না করায় পরপর স্টেশনে থমকে যায় ট্রেন। ফলে বিপাকে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। যদিও দ্রুত সমস্যার সমাধানে নেমে পড়েন রেলকর্মীরা। আবার রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, শিয়ালদা স্টেশনে রেল ও আরপিএফ যৌথ উদ্যোগে বিনা মাস্কের যাত্রীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে সোমবার সকাল থেকেই। মাস্ক ছাড়া যাত্রীদের ধরলেই আর্থিক জরিমানা করা হচ্ছে। তবে ভিড় নিয়ন্ত্রণে কোনও উদ্যোগই এদিন চোখে পড়েনি।

Latest article