লাল সতর্কতা জরি হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে

বৃষ্টি ও বন্যায় উত্তর ভারতে মৃত প্রায় ১৫০

Must read

প্রতিবেদন : গত কয়েকদিনের একটানা প্রবল বৃষ্টিতে বেসামাল গোটা উত্তর ভারত (North India- Heavy Rainfall)। হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) ও উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand)। উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের বন্যা ও হড়পা বান কেড়ে নিয়েছে প্রায় ১৫০ জন মানুষের প্রাণ। বেশ কয়েকজন নিখোঁজ। যার মধ্যে শুধু হিমাচলেই প্রাণ হারিয়েছেন ৮২ জন। ধস ও হড়পা বানের কারণে একাধিক জায়গায় জাতীয় সড়ক ও সেতু ভেসে গিয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে একাধিক গ্রাম। সোলান উপত্যকায় ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে রবিবার। ১১ জুলাই পর্যন্ত এই রাজ্যে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের তুলনায় ২২৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। মৌসম ভবন এদিন তার পূর্বাভাসে ২৪টি রাজ্যে আরও কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির কথা জানিয়েছে। হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু বুধবার জানিয়েছেন, বন্যা দুর্গতদের উদ্ধার করতে তাঁর সরকার সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বন্যার কারণে শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন পরিকাঠামো ক্ষেত্রে প্রায় ৪০০০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। একই পরিস্থিতি উত্তরাখণ্ডের। প্রবল বৃষ্টির কারণে ভেসে গিয়েছে বেশ কিছু রাস্তা। বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েছেন বেশ কিছু পর্যটক। এখনও পর্যন্ত এই রাজ্যে ১০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলের একাধিক জায়গায় লাল ও হলুদ সর্তকতা জারি করেছে মৌসম ভবন। উত্তরাখণ্ড সরকার আবহাওয়ার বিপর্যয়ের কারণে কেদার ও বদ্রীনাথ যাত্রা বাতিল করেছে। বানভাসি পাঞ্জাবে ৮ জন এবং হরিয়ানায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে বন্যার বলি হয়েছেন ৩৬ জন। এবারের বন্যায় দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বহু ব্যালট পেপারে স্বাক্ষর করেননি প্রিসাইডিং অফিসাররা

তবে এবার বৃষ্টির খামখেয়ালিপনা সকলকেই অবাক করেছে। প্রবল বৃষ্টিতে (North India- Heavy Rainfall) যখন উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারত হাবুডুবু খাচ্ছে, তখন দেশের ১২টি রাজ্য বৃষ্টির জন্য চাতকের মতো তাকিয়ে আছে। বিশেষ করে তেলেঙ্গানা, কর্নাটক, ছত্তিশগড়, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে এখনও সেভাবে বৃষ্টির দেখা মেলেনি। দক্ষিণবঙ্গেও প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। কেরলে বৃষ্টি হলেও তা হয়েছে মূলত উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। রাজ্যের অন্যান্য অংশে সেভাবে বৃষ্টি হয়নি।

Latest article