হার হবে রাশিয়ারই, কিয়েভে বললেন মার্কিন কর্তারা

শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের পাশে এসে দাঁড়াল আমেরিকা।

Must read

প্রতিবেদন : শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের পাশে এসে দাঁড়াল আমেরিকা। রবিবার রাতে ইউক্রেনে এসে পৌঁছন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড জে অস্টিন। এই মুহূর্তে রাশিয়া-ইউক্রেন দুই দেশেই চলছে পবিত্র ইস্টার উৎসব। এরই মাঝে সোমবারও একের পর এক রুশ গোলা আছড়ে পড়েছে ইউক্রেনের উপর। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসেন ব্লিঙ্কেন ও অস্টিন।

আরও পড়ুন-জঙ্গলরাজের ছবি

যুদ্ধ শুরুর ঠিক দুই মাসের মাথায় প্রথমবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে এলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই শীর্ষস্থানীয় আমলা। জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে ঠিক কোন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে অবশ্য আমেরিকা প্রকাশ্যে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। তবে এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নির্বাচিত ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি ইউক্রেন সমস্যা সমাধানে ম্যাক্রোঁর সহযোগিতা চেয়েছেন। জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন বিদেশ সচিব ব্লিঙ্কেন বলেছেন, এই যুদ্ধে রাশিয়া ক্রমশই পিছু হটছে। বরং ইউক্রেন সাফল্যের দিকে এগিয়ে চলেছে। অন্যদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব অস্টিন বলেছেন, তাঁরা চান রাশিয়া যাতে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ে। ভবিষ্যতে তারা ইউক্রেনের মত আর কোনও দেশে যাতে অভিযান না চালাতে পারে সেটা নিশ্চিত হওয়া দরকার। ইউক্রেন যাতে গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে তাদের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া দরকার। ইউক্রেন ও অন্যান্য দেশকে সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য আমেরিকা আরও ৭১৩ মিলিয়ন ডলার দেবে বলেও আশ্বাস দেন অস্টিন।

আরও পড়ুন-বিশ্বের পঞ্চম ধনী গৌতম আদানি

এদিন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে রাশিয়া দেশের পূর্ব প্রান্তে দখলের যে চেষ্টা করে চলেছে তা ঠেকানো গিয়েছে। এদিনই ইউক্রেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ধীরে ধীরে হলেও সে দেশের বেশ কিছু শহরে জনজীবন স্বাভাবিক হচ্ছে। তবে আজভস্টল ইস্পাত কারখানায় আটকে থাকা সেনা ও সাধারণ মানুষকে উদ্ধারের জন্য রাশিয়া মানবিক করিডোর গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা সেটা তারা পালন করছে না।

Latest article