প্রয়াত পরমাণু বিজ্ঞানী বিকাশ সিনহা, শোকজ্ঞাপন মুখ্যমন্ত্রীর

Must read

প্রয়াত হলেন পরমাণু পদার্থবিজ্ঞানী বিকাশ সিনহা (Bikash Sinha)। শুক্রবার সকালে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। ‘পদ্মভূষণ’ সম্মানে ভূষিত পদার্থবিজ্ঞানীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বৈজ্ঞানিকমহল। তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।

ট্যুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, “পদার্থবিজ্ঞানী বিকাশ সিনহার (Bikash Sinha) অকাল প্রয়াণে শোকাহত। তিনি ছিলেন বাংলার কৃতী সন্তান। তাঁর অবদান আমাদের গর্বিত করেছে। ২০২২ সালে তাঁকে বঙ্গবিভূষণ পুরষ্কার প্রদান করা হয়েছিল। এছাড়াও ২০২২ সালে ‘রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার’ও তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়। আমি তাঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব, ছাত্রদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই।“

মুর্শিদাবাদের কান্দি রাজ পরিবারের সন্তান বিকাশ সিনহা। ১৯৪৫ সালে মুর্শিদাবাদের কান্দিতে জন্ম তাঁর। ২০১০ সালে ‘পদ্মভূষণ’ সম্মাননা প্রাপ্ত পরমাণু বিজ্ঞানী বিকাশ ‘সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স’-এর অধিকর্তা পদে ছিলেন। ‘ভেরিয়েবল এনার্জি সাইক্লোট্রন সেন্টার’-এর ‘হোমি ভাবা অধ্যাপক’ পদেও নিযুক্ত ছিলেন তিনি। দেশের বাইরে বিদেশেও একাধিক বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। বিকাশ সিনহা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি পাওয়ার পরে উচ্চতর পঠনপাঠনের জন্য ব্রিটেনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন। দেশে ফিরে এসে যোগ দিয়েছিলেন ‘ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার’ (বার্ক)-এ। কলকাতায় ‘বার্ক’-এর ‘ভেরিয়েবল এনার্জি সাইক্লোট্রন সেন্টার’-এর প্রতিষ্ঠা এবং সেটিকে বিশ্বমানের গবেষণা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার পিছনে অগ্রণী ভূমিকা ছিল তাঁর। গবেষণার পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্নভাবে আমজনতার মধ্যে বিজ্ঞান চেতনা প্রসারেও কাজও করেছেন পদার্থবিজ্ঞানি বিকাশ সিনহা। তাঁকে সিলেবাস কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

আরও পড়ুন- ভাষণ জুড়ে মোদিকে তাড়া করে বেড়াল বাংলার ভয়ের ছায়া

Latest article