‘আমার গহনা পিতাঠাকুর দেন, হাতে চালদানা, পলাকাটি, মাদুলি, পঁইছা, বাউটি, তাবিজ, বাজুদানা, কণ্ঠমালা। ত ছয়গাছা মল, পাঁয়জোর, গকরি, পথম ও চুটকি। কানে বোঁদা ও মাছ। কোমরে চন্দ্রহার, গোট, চাবি ও শিকলি।’
আরও পড়ুন-জিএসটি ক্ষতিপূরণে কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতি.বাদে সরব চন্দ্রিমা
মুশকিল হল এই সমস্ত গহনা শাশুড়ি নিয়ে তাঁর ভিক্ষাপুত্রের বৌকে দিয়ে দিলেন। বদলে তিনি তাঁর নিজের বৌমাকে দিলেন ‘৮০ ভরির ঝুমুর দেওয়া ছয়গাছা মল। ৮০ ভরির পাঁয়জোর, বালা, ডামনকাটা, পাড়িখাড়ু, হাতহার, চালদানা, ৪০ ভরির বাউটি, ১৪ ভরির গোলমালা, ১২ ভরির তাবিজ, ৫ ভরির বিল্বপত্র বাজু, গোপহার, মুকুতার কণ্ঠি, পানহার, সিঁতি, দো-নর মুকুতা, ২৮ ভরির চন্দ্রহার, কানবালা, কানফুল, ঝুমকা, চৌদানি, মুক্তার গোছা, দুটি ছোট ঝুমকা, দুটি ছোট ফুল আর পিপুলপাত।’
তথ্য কিশোরীচাঁদ মিত্রের স্ত্রী কৈলাসবাসিনী দেবীর ‘গহনার ফর্দ’ থেকে গৃহীত।
আরও পড়ুন-উত্তরে ঢালাও লগ্নি
এ তো গেল বিয়ের গয়নার সাবেক কথা। এ ছাড়াও নানা পুজো অনুষ্ঠানে বাবুদের বউরা ভারী ভারী গয়না পরতেন। সে-সময় একটু সম্পন্ন গৃহস্থ মানেই জম্পেশ গয়নাগাটি। অন্দরের রমণীদের গয়নাই ছিল ধ্যানজ্ঞান, জীবন, যৌবন। প্রসন্নময়ী দেবীর স্মৃতিকথায় এমন এমন সোনার গয়নার কথা লেখা আছে যেসব নাম এযুগে কেউ শোনেনি যেমন— ‘গোড়ে, ছালনা, পিন খাড়ু, চাউদানি এয়ারিন, দমদম পোখরি ঝাঁপা’।
এ তো গেল সাবেক গয়নার কিছু নমুনা। আসলে অলঙ্কার এবং নারী এই দুয়ের সম্পর্ক চিরন্তন। ভারতে সোনার গয়নার প্রচলন প্রায় ছ’হাজার বছরের পুরনো। ঐতিহাসিক তথ্য বলে, সেই সময় থেকেই সোনার সাজ বিত্তশালীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ভারত ছাড়াও সোনা দিয়ে গয়না ও অন্যান্য শখের জিনিসপত্র বানানোর চল দেখা যায় চিন, মেসোপটেমিয়া, গ্রিস, রোম ও মিশরে। একটা সময় ছিল যখন সোনার অলঙ্কার শুধুই রাজা ও রানিদের অঙ্গে শোভা পেত। গ্রিসে নাকি রাজারা বর্ম বানানোর জন্যও সোনার পাত ব্যবহার করতেন। আর রাজা ও রানিদের মাথায় সোনার মুকুট তো বহু পুরনো রীতি। ভারতের পুরাণ, ইতিহাস যার সাক্ষ্য দেবে।
আরও পড়ুন-বিজেপির আচরণ প্রতিহিংসামূলক, সাংসদ পদ খারিজে মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়ে তোপ দাগলেন দলনেত্রী
প্রথম দিকে সোনার গয়নায় দামি পাথর বসানোর চল খুব একটা ছিল না। তখন সোনার বর্ম বা মুকুটে তেমন কারুকাজও দেখা যেত না। বরং পাতের মতো করে সোনার প্লেট বানানো হত এবং সেই প্লেটই বিভিন্ন গয়নায় রূপান্তরিত হত। তবে বর্ম বা মুকুট যা-ই হোক না কেন, তাতে সামান্য খাদ মেশানোর চল সেই আদি যুগেও ছিল। না হলে গয়নার সোনাকে মজবুত করে বানানো যেত না।
এবার একটু দেশের গয়না ও তার নকশার দিকে চোখ ফেরানো যাক। ভারতে সোনার বর্ম থেকে গয়না— সবেতেই কারুকাজ শুরু হয় মোগল সাম্রাজ্যের কয়েক দশক আগে থেকে। মুসলমান কারিগররা প্রথম জাফরির কাজ ও জালের কাজ শুরু করেন তখন। তবে এই ধরনের কারুকাজ মূলত মহিলাদের গয়নাতেই দেখা যেত। এর কিছু সময় পর বাংলায় সোনার গয়নায় গোলাপ ফুল নকশা, জুঁই ফুল নকশা, অমৃতপাক বালি, ফারপো বালা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল।
আরও পড়ুন-কল্যাণের যুক্তিতে খেই হারালেন অধ্যক্ষ
গয়নার বৃহত্তর ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে মেসোপটেমিয়ার রাজপরিবারে চওড়া নেকলেস জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। সেই নেকলেসের মাঝে চুনি, পান্না এবং হীরে বসানো শুরু হয় তার বেশ কয়েক দশক পরে। নেকলেসের নকশায় ভারতীয় ছাপ পড়তে শুরু করেছিল বাবু কালচারের যুগ থেকে। তখন নেকলেসের নকশায় একটু জালি বা জাফরির কাজ দেখা যেত।
এহেন মহার্ঘ সোনার অলঙ্কার একটা সময় স্ত্রীধনে পরিণত হল। গয়না আজ আর ধনীদের বিলাসব্যসনের সামগ্রী নয়, গয়না হল অ্যাসেট। থাকলে তা টাকার সমান, অসময় বা দুঃসময় এই গয়নাই একমাত্র যা কাজে আসবে এই চিরাচরিত ভাবনা থেকেই বাবা-মায়েরা সোনা দিয়ে সাজিয়ে বিয়ে দিতেন মেয়েদের। সেই গয়না জায়গা করে নিল গয়নার বাক্সে বা সেগুন কাঠের আলমারির লকারে। আর আজ তা ব্যাঙ্কের লকারের শোভাবর্ধন করে। মেয়ের বিয়ে হোক বা পুত্রবধূকে আশীর্বাদ— সোনার গয়না চাই-ই। সার্মথ্য না থাকলেও নিদেনপক্ষে মুক্তোর ওপর সোনা বসানো বা পলার ওপর সোনাগাঁথা হালকা স্লিক গয়নাও কিনছেন কনের বাবা-মায়েরা।
আরও পড়ুন-পাহাড়কে শান্ত রাখুন উন্নয়নের দায়িত্ব আমার: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মুসলিমরা এই বঙ্গে আসবার আগে পর্যন্ত মেয়েদের মাথায় গয়না পরার চল ছিল না এবং তেমন কিছু পাওয়া যেত না। টায়রা, টিকলি এগুলো এসছে অনেকটা পরে। টায়রা আর টিকলি কী— খায় না মাথায় দেয় বোঝা ভার ছিল।
গলার হারে মুক্তার মালার চল সবচেয়ে প্রাচীন বৈদিক যুগে। তবে ঊনবিংশ শতকের শুরুর দিকে চম্পাকলি, হাঁসুলি, ইতরাবদন, গুলবন্ধ, কান্দি, মোহরণ, হাউলদিল নামে নানা রকম গলার হার পরতেন মেয়েরা। হাঁসুলি পুরাতনি হলেও নতুন রূপে আবার ফিরে এসছে।
আরও পড়ুন-প্রশ্নের মুখে দেশের নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা, এনসিআরবি রিপোর্ট
হাতের গয়না বললেই মনে পড়ে সাবেকিয়ানার চিরন্তনি বাজুবন্ধ, তাবিজ, অনন্ত, বাউটি, মানতাসা আর রতনচূড়। নানাধরনের বালা এর মধ্যে বেশিরভাগ আর দেখতে পাওয়া না গেলেও মানতাসা, রতনচূড়, বাজুবন্ধ আধুনিক কনের বেশ পছন্দের। মানতাসা পরছেন বহু কনে। মানতাসা হল অনেকটা রিসলেটের মতো। কবজির উপরিভাগে রিস্টে চওড়াভাবে চেপে বসে থাকে নিচের অংশটা স্লিক চেন দেওয়া। মানতাসা বেশ ভারী এবং চওড়া। এক হাতেই পরতে হয়। কেউ কেউ দু-হাতেও পরেন। রতনচূড়ের ট্রাডিশনটা একটু আলাদা। হাতের কবজির কাছে এটি চুড়ির মতো আটকানো থাকে এবং বাকি অংশ চেনের মতো ছড়িয়ে হাতের প্রতিটা আঙুলের সঙ্গে লাগানো থাকে। সলিড সোনার হলেও ইদানীং মুক্তোর চেন দিয়েও রতনচূড় হচ্ছে। আবার, কস্টিউম জুয়েলারি স্টাইলে স্টাডেড স্টোনের চেন দিয়েও রতনচূড় পরছেন আধুনিকারা। এই রতনচূড়কেই আজকাল হাতপদ্ম বলে। তবে ভাওটা, জসমবাঁক, কুলুপিয়ার নাম আধুনিকারা কেউ শুনেছেন কিনা জানা নেই।
আরও পড়ুন-আন্তর্জাতিক বাজারে আরও সস্তা হল অপরিশোধিত তেল, এদেশে কবে দাম কমাবে কেন্দ্র?
তখন আংটিরও ছিল নানা ধরন। আরশি আর ছল্লা নামে দুই ধরনের আংটি তর্জনীতেই পরার নিয়ম ছিল রাজপরিবারের। কোমরে পরার জন্য ছিল পাহজেব, বঞ্জর, জিঞ্জির। যাঁদের অর্থকড়ি কম তাঁরা স্ত্রী কোমরে পরার জন্য কিনে দিতেন গোটাহার, আর নিমফল।
এক সালঙ্কারা বধূর বর্ণনা দিয়ে বেগম রোকেয়া লিখেছিলেন— মেয়েটি নাবালিকা (যথারীতি), তাঁর ‘মাথায় সিঁথির অলঙ্কার ৪০ ভরি, কর্ণে ২৫ ভরি, কণ্ঠে ১২০ তোলা, সুকোমল বাহুলতায় প্রায় দুই সের, কটি দেশে ৬৫ ভরি, চরণযুগলে ২৪০ ভরি স্বর্ণের বোঝা!’
কিন্তু সোনা বোঝা হলেও তা অ্যাসেট এটা বুঝতে কারও বাকি নেই। তাই যুগ বদলে গেলেও এর চাহিদা আজও চিরন্তন। সোনা আভিজাত্য, স্টেটাস সিম্বল, প্রাইড। তাই অলঙ্কারের ইতিহাস স্বাভাবিক কারণেও সমৃদ্ধ।
আরও পড়ুন-লোক আদালতের ভূমিকা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না
সে-যুগ থেকে পাড়ি দিয়ে এ-যুগের প্রবেশ করলেই বদলে যায় গয়নার রূপ, রং, বর্ণ। আজ অলঙ্কার মানেই স্লিক, স্টাইলিশ, হালকা। মিনিমাল ট্রেন্ডি ডিজাইন। মিনাকারি, ডায়মন্ড, প্রেশাস স্টোন, পার্লের সোনার মিশেলে কাজ সঙ্গে বিডস, মুক্তো ইত্যাদির মিশেল। পাল্টেছে সোনার সংজ্ঞা। বিয়েতে যেমন বেনারসি তেমনই গয়না। নেকলেস, চোকার, সীতাহার, বেলকুঁড়ি মালা, জুঁইফুলের হার, বাউটি, কঙ্কণ, চূড়, বালা— এই সব। এর পাশাপাশি সমানতালে জায়গা করে নিয়েছে হীরে এবং পিওর কস্টিউম। জুয়েলারি, আর্টিফিশিয়াল কস্টিউম জুয়েলারি। সঙ্গে প্রেশাস এবং সেমি প্রেশাস স্টোন স্টাডেড জুয়েলারি।
একটি গয়না সেই ভিক্টোরিয়ান যুগ থেকে আজও ট্রেন্ডি আর সেটি হল চোকার। শুধু অভিজাত সমাজে নয় আধুনিক ছেলেমেয়েদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে এই চোকার। রানি এলিজাবেথের কন্যার গলায় চোকার দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। পরবর্তীতে ভিক্টোরিয়া যুগে সেই চোকার ফিরে আসে নতুন করে। রানির গলায় বিভিন্ন ধরনের ডিজাইনের চোকার দেখতে পাওয়া যেত। ওয়েলসের রাজকন্যা আলেকজান্দ্রার গলায় চোকার জনপ্রিয় হয়। কথিত রয়েছে আলেকজান্দ্রা গলার একটি ক্ষত ঢাকতে চোকার পরতেন। তখন তাঁর দেখাদেখি বিত্তবান নারীরাও চোকার পরতেন। ধীরে ধীরে চোকারের ডিজাইনে এল বদল। একটা সময় প্রেশাস বা সেমি-প্রেশাস স্টোনের চোকার তৈরি হল। মুক্তো বা হীরের সঙ্গে সোনার মিশেলে তৈরি চোকার বেশ দেখতে লাগত।
আরও পড়ুন-অকাল বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে ধান, আলু আশঙ্কায় চাষিরা, নবান্নে জরুরি বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী
আধুনিকতা এবং ঐতিহ্যের মেলবন্ধনে তৈরি একটা ট্রেন্ডি লুক এ-যুগের জেনারেশন এক্স, ওয়াই, জেডের অন্যতম পছন্দ। যেমন ট্রেন্ডিং জিয়োমেট্রিক প্যাটার্ন। এই ধরনের গয়নাগুলোর শেপ মূলত ট্রায়াঙ্গেলস, স্কয়ারস, ওভাল হয়। ভারতীয় তথা বাঙালি কনে বিয়েতে পরছেন জিওমেট্রিক প্যাটার্ন্সযুক্ত গহনা। যুগ যুগ ধরে প্রচলিত এই ফ্যাশনটি আজও খুব বেশি ট্রেন্ডি এবং আকর্ষণীয়। কনের গলার নেকলেস, কানের দুল, হাতের বালা— এইসব আকারের গয়নার দেখা মেলে।
ফ্লোটিং ডায়মন্ড ডিজাইন ট্রেন্ডিং। অপটিক্যাল ইলুউশন তৈরি করতে পারে এমন ফ্লোটিং ডিজাইনের গহনা আধুনিক যুগে কনেদের সেরা পছন্দ। গহনা প্রস্তুতকারকরা এমন কিছু বিশেষ ডিজাইন সৃষ্টি করেছেন যা বিগত কয়েক বছর ধরে হীরের গহনাকে অনেক বেশি সাহসী এবং আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এই বছর এবং আগামীতে বিয়ের কনেদের জন্য ফ্লোটিং ডায়মন্ড ডিজাইন ট্রেন্ডিং। যে-কোনও ধরনের বিয়ের পোশাক যেমন লেহেঙ্গা চোলি, শাড়ি, মিক্সড কাট ডায়মন্ড অর্থাৎ ছোট ছোট হীরে একসঙ্গে করে একটা গোটা জুয়েলারি। এক্সটিক ফ্লোরাল এবং জ্যামিতিক মোটিফ এই ধরনের গয়নার ডিজাইনে বেশ ইন। এর মধ্যে বেশ পপুলার কিছু ডায়মন্ড সেট হল রাউন্ড, প্রিন্সেস, এমারেল্ড, মারকুইজ, পিয়ার, হার্ট, কুশন ইত্যাদি। এই বছর বিয়ে করছেন যাঁরা তাঁদের টপ লিস্টে রয়েছে এই ধরনের ডায়মন্ড। দামে একটু হালকা অথচ ট্রেন্ডিং এবং সফিস্টিকেটেড। কনের ওজন বাড়িয়ে দেয় মুহূর্তে।
আরও পড়ুন-কিউ আর কোডে মিলবে সাগরমেলার তথ্য
যে-কোনও ধরনের ব্রাইডাল পোশাকের সঙ্গে সেমি প্রেশাস অথবা প্রেশাস স্টোনের ভারী কস্টিউম জুয়েলারি এখন ট্রেন্ডে। সোনাকে সামান্য পিছনে ফেলে এগিয়ে এই কন্টেম্পরারি অথচ ট্রাডিশনাল জুয়েলারিগুলো। যার মধ্যে বেশি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে রুবি এবং পান্নার জুটি। লেহেঙ্গার সঙ্গে এই ধরনের রুবি এনং পান্নার গহনা খুবই মানানসই হয়। গাঢ় উজ্জ্বল লেহেঙ্গা আইভরি, ভেলভেটি রেড, মেরুন, পিঙ্ক, ম্যাজেন্টা, এমারেল্ড গ্রিন রঙের ডিজাইনার লেহেঙ্গার সঙ্গে রুবি, পান্না, মুক্তোর— গলা থেকে একেবারে বুকের নিচে অবধি চওড়া একটা নেকপিস স্টেটমেন্ট হয়ে উঠছে। কনের রূপকে দিচ্ছে বাড়তি জৌলুস শুধু রুবির যে কোনও সেট কনেকে একটা ক্লাসিক লুক দেয় যা বিয়ের বিশেষ দিনে নতুন কনের লাবণ্য এবং সৌন্দর্যকে দ্বিগুণ করে তুলে ধরে।
আরও পড়ুন-বেনারসির বিবর্তন
আগামী নতুন বছরে বিয়ের কনেদের চোকার আর ব্রেসলেট ভীষণ ট্রেন্ডিং। সরাসরি বিয়ে না হোক হলদি হোক বা মেহেন্দি কিংবা আশীর্বাদ সেরিমনি চোকার, ব্রেসলেট সেট কন্টেম্পরারি এবং ক্লাসিক কালচারের এক অনবদ্য মিশেল হয়ে উঠবে। পার্লের সঙ্গে স্টোন স্টাডেড এবং গোল্ডের কম্বিনেশনে অথবা সোনার মিনাকারির ওয়র্কের সঙ্গে মুক্তোর বিছে আবার বেশ ট্রেন্ডিং। অনেক কনেই বিয়ের লম্বা সীতাহারটি মুক্তোর উপর করছেন। বেশ ভারী অনেকটা সোনার বড় স্টেটমেন্ট লকেটের এলিগেন্সিই আলাদা। ইদানীং নতুন কনেরা খুব লাল বেনারসি সিলেক্ট করছেন। একাধারে ট্র্যাডিশন, অন্যদিকে মডার্ন কন্টেম্পরারি— দুইয়ের মাঝামাঝি একটা লুক পেতে চাইছেন। যেটা এই ধরনের এক্সেসরিজে এবং আউটফিটে পেয়ে যাচ্ছেন অনায়াসে।