মহিষাদল রাজবাড়ির আকর্ষণ আম-কাঁঠাল মেলা

এবার প্লাস্টিক বর্জনের বার্তা দিতে মাটির ভাঁড়ে জগন্নাথের পোলাও ভোগ বিলি করা হয় বলে জানান রাজ পরিবারের সদস্য হরপ্রসাদ গর্গ

Must read

সংবাদদাতা, মহিষাদল : মহিষাদলের ঐতিহাসিক রথযাত্রার এবার ২৪৮ বছর। ঐতিহ্যপূর্ণ রথের দড়ি টানার জন্য এ বছরও গরম উপেক্ষা করে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে। এখানকার রথযাত্রার অন্যতম আকর্ষণ আম-কাঁঠাল মেলা। কাঁঠাল কেনাবেচার জন্য নতুন বাজার হয়েছে রাজবাড়ির আম্রকুঞ্জে। মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া থেকে ইতিমধ্যে কয়েক লরি কাঁঠাল এসেছে আম্রকুঞ্জের নতুন কাঁঠাল বাজার এবং বাসস্ট্যান্ডের পুরনো কাঁঠাল বাজারে। কাঁঠাল বাজার তাই রথে জমে উঠেছে।

আরও পড়ুন-কাফলিং খুলে ট্রেন ছুটল ডালখোলায়

খুশি কাঁঠাল ব্যবসায়ী মিরাজুল শেখ, নাসির শেখ, আলাউদ্দিন শেখরা। দীর্ঘ ১৫-২০ বছর ধরে মহিষাদলের রথের উৎসবে তাঁরা কাঁঠাল বিক্রি করতে আসেন নদিয়া থেকে। জমজমাট লেত উৎসব অর্থাৎ কাঠের তৈরি রথের নেত্রদান অনুষ্ঠান ও কাঁঠালমেলা। প্রায় ৬০ ফুট উঁচু তেরো চুড়োর কাঠের রথ এবং মহিষাদল রাজবাড়ি দেখার জন্য বহু মানুষ ছুটে আসেন মহিষাদলে। রাজবাড়ির কুলদেবতা মদনগোপাল জিউকে পালকিতে করে রাজবেশে রথে আনা হয়। পুজোর পর ঘট রথের একেবারে চূড়ায় স্থাপনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় লেত উৎসব।

আরও পড়ুন-রথযাত্রায় শুরু যাত্রার বুকিং

এবার প্লাস্টিক বর্জনের বার্তা দিতে মাটির ভাঁড়ে জগন্নাথের পোলাও ভোগ বিলি করা হয় বলে জানান রাজ পরিবারের সদস্য হরপ্রসাদ গর্গ। বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ভিড় সামলাতে প্রশাসন রাজবাড়ি-সংলগ্ন রাজ হাইস্কুল থেকে পঞ্চায়েত ভোটের ডিসিআরসি এবং কাউন্টিং সেন্টার মহিষাদল গার্লস কলেজে স্থানান্তরিত করেছে।’’

Latest article