কেন্দ্রের অনুমতি সত্ত্বেও রাজ্য ঋণ নেয়নি, আর্থিক অবস্থা মজবুত

Must read

প্রতিবেদন : তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের গত ১১ বছরের শাসনকালে রাজ্যের অর্থনীতি দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় সরকার বাজার থেকে বাড়তি ঋণ নেওয়ার অনুমোদন দিলেও তা নেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না রাজ্যের। বিধানসভায় এফআরবিএম আইনের সংশোধনী পেশ করে এ কথা জানালেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। জবাবি ভাষণে তিনি বলেন, আর্থিক শৃঙ্খলা মেনে চলে এবং কর ও রাজস্ব আদায় ব্যবস্থার সংস্কারসাধনের মাধ্যমে এই উন্নতি সম্ভব হয়েছে। অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার ইচ্ছামতো ঋণ নিতে পারে না। জিএসডিপি অনুপাতে ৩ শতাংশ ঋণ নেওয়ার ক্ষমতা ছিল রাজ্য সরকারের। কোভিড পরিস্থিতিতে তা ২ শতাংশ বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু ৪ শতাংশের বেশি ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হয়নি।” এফআরবিএম আইন সংশোধনের মাধ্যমে রাজ্যের খোলাবাজার থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষমতা বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে বাজার থেকে ঋণ নেওয়া রাজ্যের সাংবিধানিক অধিকার। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে সব রাজ্যের জন্য তার বাড়তি হার লাগু হয়েছে। সেই মোতাবেক রাজ্যের গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার সংস্থান রাখা হয়েছে। যদিও রাজ্য সরকারের এখনই বাড়তি ওই অঙ্কের ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। রাজ্যের আর্থিক উন্নয়নের ছবি তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১০-১১ আর্থিক বছরে যেখানে রাজ্যের মোট অভ্যন্তরীণ কর ও রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল মোট ২১ হাজার ১২৯ কোটি টাকা। চলতি আর্থিক বছরে তা প্রায় চার গুণ বেড়ে হয়েছে ৭৯ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা। রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৩.৭৫ শতাংশ। তা কমিয়ে ১.৬৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। ২০১০-১১ আর্থিক বছরে যেখানে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বাজেট বরাদ্দ ছিল ১৮ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা। তা আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব ৬.৭ গুণ বাড়িয়ে এক লক্ষ ২৬ হাজার ৩০৫ কোটি টাকা করা হয়েছে বলে তিনি জানান। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারী-শিশু সমাজকল্যাণ, সংখ্যালঘু, আদিবাসী, পঞ্চায়েত, পূর্ত, নগরোন্নয়ন সমস্ত দফতরের বাজেটই বেড়েছে।

Latest article