সংসদে আলোচনা ও পাশ মহিলা বিল, আগেই প্রাপ্য সম্মান দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী

ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মহুয়া মিত্ররা প্রতিটি লাইনে বুঝিয়ে দিয়েছেন এই বিলের আগে কেন বিজেপিরই উচিত তৃণমূলকে সমর্থন করা!

Must read

প্রতিবেদন : মহিলা বিল নিয়ে সংসদে বলতে গিয়ে তৃণমূলের মহিলা সাংসদরা বিজেপিকে লেজেগোবরে করে ছাড়লেন। ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মহুয়া মিত্ররা প্রতিটি লাইনে বুঝিয়ে দিয়েছেন এই বিলের আগে কেন বিজেপিরই উচিত তৃণমূলকে সমর্থন করা! কাকলি ঘোষ দস্তিদারের কথায়, যে বিজেপি দেশের সোনার পদক-জেতা মহিলা কুস্তিগিরদের হেনস্তা-করা কুখ্যাত ব্রিজভূষণকে সংসদে বসিয়ে রাখে, তাদের কোনও অধিকার নেই মহিলা বিল নিয়ে আলোচনা করার। তাঁর সংযোজন, নারী-নিরাপত্তায় ব্যর্থ মোদি সরকার। ১৬টি রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় থাকলেও নেই কোনও মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ইতিমধ্যেই ৪০ শতাংশ মহিলা-আসন রয়েছে। ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করে রাজনৈতিক জুমলা না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধরার চেষ্টা করুন, আমাদের সমর্থন করুন।

আরও পড়ুন-কাতালোনিয়া ও বাংলার টিমের বৈঠক

তাঁর কথায়, ২০২৪-এর নির্বাচনের আর ছ’মাস বাকি। তার আগে এই বিল নিয়ে আসার অর্থ দেশবাসীর সঙ্গে রাজনৈতিক ধোঁকা ছাড়া আর কিছুই নয়। আর-এক সাংসদ মহুয়া মিত্রও এদিন ধুইয়ে দিয়েছেন বিজেপি সরকারকে। মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে বক্তব্য রাখতে উঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি মমতাকে মহিলা সংরক্ষণ বিলের ‘মা’ বলে অভিহিত করেন। মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই লোকসভায় মহিলাদের যে জায়গা দিয়েছেন তাতে তিনি প্রকৃত অর্থেই ‘বিলের মা’।” যত দ্রুত সম্ভব আইন প্রণয়নের দাবি জানান তিনি। বলেন, মহিলাদের সমান অধিকার পেতেই হবে। সংসদ জুড়েই দাবি ওঠে ২০২৪-এ লোকসভা ভোট থেকেই এই মহিলা সংরক্ষণ চালু হোক। বিজেপি অবশ্য রাজনীতির অন্দরমহলেই ঘুরপাক খাচ্ছে।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

উল্লেখ্য, এই বিল পাশ হলে লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভাগুলিতে মহিলা প্রতিনিধির আসন সংরক্ষণ বেড়ে ৩৩ শতাংশ হয়ে যাবে। আজ লোকসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে আলোচনার সূচনা করেছেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। গত ২৭ বছর ধরে মহিলা সংরক্ষণ বিল নানা কারণে সংসদে পাশ হয়নি। বিলটি প্রথমবার সংসদে পেশ করা হয়েছিল ১৯৯৬ সালে এইচ ডি দেবগৌড়া সরকারের আমলে।
কাকলি এদিন বলেন, মহিলাদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করতে পারেননি মোদি-সরকার। কেন হাথরস, উন্নাও, জম্মুর মতো ঘটনা ঘটল। কেন ১০০ দিনের কাজের জব কার্ড থাকা সত্ত্বেও মহিলারা টাকা পাচ্ছেন না?

আরও পড়ুন-রাজ্যে বাংলাদেশের ৩৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ আসছে

তিনি বলেন, আমরা এই বিলটিকে সমর্থন করি। পশ্চিমবঙ্গই দেশের একমাত্র রাজ্য যেখানে একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন। লোকসভায় তৃণমূলের ৪০% মহিলা সাংসদ রয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মহিলাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং প্রশাসনিক পরিষেবা সম্পর্কে অবিরাম কাজ করে চলেছেন। যে চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্য নিয়ে মোদি সরকার যে ঢাক পেটাচ্ছে সেই ইসরোর মহিলা-বৈজ্ঞানিকরা দিনের পর দিন বেতন পাচ্ছেন না। দেশের স্বর্ণপদকজয়ী মহিলারা বিজেপির সাংসদের হাতে নিগৃহীত হওয়ার পরও মোদি-সরকার চুপ থাকে। আইআইটির মহিলা রিসার্চ স্কলাররা স্টাইপেন্ড পাচ্ছেন না দিনের পর দিন অথচ নির্বিকার মোদি। মহিলা সংরক্ষণ বিল বিজেপির রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জায়গা ছাড়া আর কিছুই নয়, লোকসভায় দাঁড়িয়ে একের পর এক অভিযোগে এভাবেই বিজেপি সরকারকে বিদ্ধ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। আলোচনা শেষে বিল পাশ হয় ৪৫৪-২ ভোটে।

Latest article