মণিপুরে এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়িতে আগুন, আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে, স্বীকার বিজেপি নেতার

অথচ ৩ মে থেকে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুর জ্বলছে। একাধিক জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষ, হামলায় মানুষ ঘরছাড়া। মৃত্যুমিছিল অব্যাহত।

Must read

প্রতিবেদন : বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের চলতি প্রক্রিয়ায় বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তির জন্য বিজেপি নেতারা হইচই শুরু করে দিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করেছেন। অথচ ৩ মে থেকে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুর জ্বলছে। একাধিক জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষ, হামলায় মানুষ ঘরছাড়া। মৃত্যুমিছিল অব্যাহত।

আরও পড়ুন-ডাবগ্রাম ফুলবাড়িতে এখনই উড়ছে আবির

এরই মধ্যে শুক্রবার ফের ইম্ফলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আর কে রঞ্জন সিংয়ের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। তবে ঘটনার সময় মন্ত্রী সেখানে না থাকায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। এর আগে পশ্চিম ইম্ফলের কোংবাতে তাঁর আরও একটি বাড়িতে দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছিল। রঞ্জন মেইতেই সম্প্রদায়ের মানুষ। এই ঘটনাতেই প্রমাণ হচ্ছে মণিপুরের সাধারণ মানুষ বিজেপির উপর কতটা ক্ষুব্ধ। শুক্রবার তাঁর বাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টার পর কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রঞ্জন বলেছেন, মণিপুরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। লাগাতার অশান্তির জন্য রাজ্যের বিজেপি সরকারই দায়ী। গোটা ঘটনায় তিনি বিস্মিত।

আরও পড়ুন-ব্যথাহীন স্বাভাবিক প্রসবে নজির জঙ্গলমহলের হাসপাতালের

প্রশ্ন উঠছে, অবিজেপি রাজ্যগুলিতে সামান্য কোনও ঘটনায় কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের জবাব চেয়ে থাকে। অথচ দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে মণিপুর জ্বললেও নীরব রয়েছে মোদি সরকার।
চলতি অশান্তিতে মণিপুরে এ পর্যন্ত সরকারিভাবে ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন হয়েছেন প্রায় ৫৩ হাজার মানুষ। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও বেসরকারি মতে এই সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি। মণিপুরের ঘটনাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, কেন্দ্র ও রাজ্যের ডবল ইঞ্জিন সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এমনকী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও মণিপুরে শান্তি ফেরাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন। মণিপুরের শান্তি ফেরাতে কেন্দ্র যে শান্তি কমিটি গঠন করেছে কুকিরা তা আগেই বয়কট করার কথা জানিয়েছে।

আরও পড়ুন-ঠাকুরবাড়ির এক স্বশিক্ষিত চিত্রশিল্পী

উল্লেখ্য, দু’দিন আগে রাজ্যের একমাত্র মহিলা মন্ত্রী নেমচা কিগপেনের বাড়িও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রঞ্জন সিংয়ের এদিনের মন্তব্যের পর শিবসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী বলেছেন, বিরোধী দলের কোনও সাংসদ নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের একজন মন্ত্রীই রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে বলে মন্তব্য করছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কি তা শুনতে পেয়েছেন? এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কী জবাব দেবে কেন্দ্র? এসবের মধ্যেই সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এক কুকি নেতার চিঠি। ওই চিঠিতে রাজ্যের চলতি অশান্তির জন্য সরাসরি বিজেপিকে দায়ী করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ২০২১ সালে লেখা চিঠিতে ওই কুকি নেতা জানিয়েছিলেন, বিজেপি দুই নিষিদ্ধ কুকি জঙ্গি সংগঠনের কাঁধে চেপেই মণিপুরে ক্ষমতায় আসে।

Latest article