ইতিহাসের সাক্ষী থাকতে কলকাতায় জনসমুদ্র

Must read

প্রতিবেদন : রাত পোহালেই জনগর্জনের ব্রিগেড— যা ইতিহাস তৈরি করতে চলেছে রাজ্য রাজনীতি তো বটেই, সাম্প্রতিক কালেও দেশে এরকম ঐতিহাসিক বর্ণময় রাজনৈতিক জমায়েত হয়নি। ব্রিগেড তো বহু হয়েছে কিন্তু ধারে-ভারে-ভিড়ে এই ব্রিগেড (TMC- Brigade) হতে চলেছে আক্ষরিত অর্থেই ঐতিহাসিক। লক্ষ্য লোকসভা নির্বাচন। এই জনগর্জনের মঞ্চ থেকেই বঙ্গবাসীর উদ্দেশ্যে এবং জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বার্তা দেবেন জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি গত কয়েকদিন ধরে টানা শহর চষে ফেলছেন জেলা থেকে আসা কর্মী-সমর্থকদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত কতটা কী হচ্ছে তার তদারকিতে। দফায় দফায় ব্রিগেডে আসছেন। ঘুরে দেখছেন গোটা মাঠ। যে অভিনব মঞ্চ ও র‍্যাম্প তৈরি করা হয়েছে এই সভাকে কেন্দ্র করে তা আগে দেখেনি কেউ। দেশের কোথাও কোনও জনসভায় এই ধরনের র‍্যাম্প তৈরি করে একেবারে জনতার মাঝে গিয়ে দাঁড়ানোর ভাবনা এর আগে কোনও রাজনৈতিক দল ভাবতে পারেনি। মূল মঞ্চ থেকে প্রায় ব্রিগেডের মাঝ-বরাবর র‍্যাম্প গিয়েছে। যেখানে দাঁড়ালে গোটা মাঠ জুড়ে যে-যেখানেই থাকুন না কেন সকলেই তাঁদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সহজেই দেখতে পাবেন। ৩৩০ মিটার লম্বা এই র‍্যাম্প দেখে বিস্ময়ে তাক লাগছে সকলের। শুধু সামনের দিকে নয় মঞ্চের দু-দিকেও একই রকমভাবে র‍্যাম্প তৈরি করা রয়েছে। আজ বিকেলেও পুরোটা ঘুরে দেখলেন অভিষেক। দিলেন প্রয়োজনীয় পরামর্শ। শুক্রবার থেকেই শহরে কর্মী-সমর্থকেরা আসতে শুরু করেছেন। শিয়ালদহ, হাওড়ায় একটার পর একটা ট্রেনে বোঝাই হয়ে আসছেন তাঁরা। আগামিকাল সকালে বাসে, সাধারণ ট্রেনে, জলপথে, গাড়িতে কাতারে কাতারে মানুষ আসবেন। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল পৌঁছবে ব্রিগেডে (TMC- Brigade)। সজাগ কলকাতা পুলিশ। নিরপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে ব্রিগেডের।

আরও পড়ুন- কাল দেখা হবে: ‘জনগর্জন সভা’র প্রস্তুতি দেখে বার্তা অভিষেকের

লোকসভা নির্বাচনের আগে এই জনগর্জন হবে প্রতিবাদের-প্রতিরোধের। বাংলার প্রতি বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে উঠবে লক্ষ কণ্ঠ। এই ব্রিগেড থেকেই জনতা শপথ নেবে দেশ থেকে বিজেপিকে হঠানোর। গায়ের জোরে এজেন্সি দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে যে দমিয়ে রাখা যাবে না তা বুঝিয়ে দিয়েছে দল। আগামিকাল এই ঐতিহাসিক ব্রিগেড জানান দেবে বাংলা তাদের ঘরের মেয়েকেই চায়। বাংলা তৃণমূলকেই চায়। এই বাংলায় কোনও বিভেদকামী শক্তির কোনও জায়গা নেই। গোটা শহর এখন জোড়া ফুলের পতাকায় মুড়ে রয়েছে। দিকে দিকে স্লোগান উঠছে— ‘পায়ে পায়ে উড়িয়ে ধুলো, ১০ মার্চ ব্রিগেড চলো’।

Latest article