নারী নাকি অর্ধেক আকাশ! তাহলে আপন ভাগ্য জয় করার মৌলিক অধিকার থেকে এখনও বঞ্চিত কেন তাঁরা? কেন মেয়েরা স্বাধীনভাবে কিছু করতে গেলেই তাঁদের ডিঙোতে হয় বাধার পাহাড়? অথচ নারী তো পা রেখেছে এভারেস্টের চূড়ায়! উড়ান দিয়েছে দিগন্ত বিস্তৃত আকাশে। নারীর মেধা, প্রতিভা, যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতা নিয়ে সন্দেহের বিন্দুমাত্র অবকাশ তারা রাখেনি। একথা কে না জানে যে, নারীর পরিপাটি ভূমিকা ছাড়া প্রায় অচল এই বিশ্বসংসার। তবু কেন এই বঞ্চনা?
আরও পড়ুন-মোহনবাগান শক্তিতে এগিয়ে,লড়াকু মনোভাবে ইস্টবেঙ্গল
আসলে নারীশক্তির প্রমাণ যুগে যুগে পেয়েছে পিতৃতান্ত্রিক তথা পুরুষতান্ত্রিক বিশ্ব। তাই কিছুটা ভীতি থেকেই সম্ভবত প্রতিযোগিতাময় পৃথিবীতে সব ক্ষেত্রেই নারীদের দমিয়ে রাখার একটা অপচেষ্টা চলতেই থাকে। দেশের প্রশাসন তো বটেই, সঙ্গীত, সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিভিন্ন স্তরে এবং বিশেষ করে খেলাধুলায় আজ মেয়েদের সাফল্য বিস্ময়কর। এই সাফল্য কিন্তু একদিনে আসেনি। এর পিছনে রয়েছে সুদীর্ঘ লড়াইয়ের ইতিহাস। ঘরে ও বাইরের, বিশেষ করে চূড়ান্ত রক্ষণশীল সমাজের বহুবিধ বিধিনিষেধ ও পাহাড়প্রমাণ বাধা অতিক্রম করে আজ অলিম্পিক থেকেও পদক আনছে মেয়েরা।
কুস্তির কথাই ধরা যাক। মেয়েরা আবার কুস্তি লড়বে কী! ও তো ছেলেদের খেলা। কুস্তিতে নষ্ট হবে মেয়েদের লাবণ্য, কমনীয়তা! মেয়েরা কুস্তি লড়লে ধাক্কা খাবে চিরন্তন সৌন্দর্য! মুখে আধুনিক অথচ অন্তরে রক্ষণশীল পুরুষতান্ত্রিক সমাজ এসব মন্তব্যের শিকলে বেঁধে রাখার কম চেষ্টা করেনি মেয়েদের। আটকে রাখতে চেয়েছিল ঘরের কোণে। কিন্তু পারেনি। শেষপর্যন্ত সব বাধা ছিন্ন করে জয়ী হয় মেয়েরা, জয় হয় ভারতের নারীশক্তির।
আরও পড়ুন-আর কত বঞ্চিত হব আমরা!
কুস্তি হল একটি নকল বা প্রতীকী যুদ্ধ, আসলে এটি একটি খেলা। শারীরিক লড়াইয়ের মাধ্যমে এই জনপ্রিয় খেলাটি খেলেন দু’জন কুস্তিগির। একজন অন্যজনকে শারীরিক লড়াইয়ে পরাস্ত করার চেষ্টা করেন। কথায় আছে, ‘কুস্তির প্যাঁচ’। ক্লিঞ্চ লড়াই, থ্রো ও চেক ডাউন, জয়েন্ট লোক, পিন এবং গ্র্যাপলিং হোল্ডের মতো নানা ধরনের কৌশল এই খেলায় ব্যবহৃত হয়। ধোঁকা, গাধানেট, ঢাক, পাটকুল্লা ইত্যাদি হল কুস্তির নানা প্যাঁচের নাম।
কুস্তিযুদ্ধ বিশ্বের প্রাচীনতম খেলাগুলোর অন্যতম। এটি শরীরচর্চার অন্যতম সেরা খেলা। ফ্রান্সের গুহাচিত্র অনুযায়ী বলা যায়, রেসলিং বা কুস্তির উৎপত্তি প্রায় ১৫০০০ বছর আগে। ব্যাবিলনীয় এবং মিশরীয় রিলিফ কুস্তিগিরেরা বর্তমান সময়ের খেলায় বিভিন্ন হোল্ড ব্যবহার করে দেখান। প্রাচীন মিশরে সমাধির নথিপত্রে (সি ২৩০০ খ্রিস্টপূর্ব) এবং মিশরীয় শিল্পকর্মে (সি ২০০০-১০৮৫ খ্রিস্টপূর্ব) এই খেলার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। প্রাচীন গ্রিসে গ্রিক কুস্তি ছিল মার্শাল আর্টের একটি জনপ্রিয় রূপ।
আরও পড়ুন-রাজ্যকে জল জীবন মিশন প্রকল্পের ১ হাজার কোটি টাকা দিল কেন্দ্র, মুখ্যমন্ত্রীর চাপের কাছে নতিস্বীকার
আধুনিক কুস্তির জনপ্রিয়তা শুরু হয় ১৯ শতকে, যা ইউরোপীয় মহাদেশ ও গ্রিস রোমান অঞ্চলে আধুনিক খেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। একইসঙ্গে গ্রেট ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফ্রি-স্টাইল ও কলেজিয়েট কুস্তির জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। ২০ শতকে চূড়ান্ত জনপ্রিয়তা পায় এই খেলা। খ্রিস্টপূর্ব ৭০৮ সালে ১৮তম অলিম্পিয়াডের একটি ইভেন্ট ছিল কুস্তি। ভারতে কুস্তির ইতিহাস অতি-প্রাচীন। মহাভারতে ভীমকে সেরা মল্লবীর (কুস্তিগির) বলা হয়েছে। প্রাচীন ভারতে কুস্তি মল্লযুদ্ধ নামে সর্বাধিক পরিচিত ছিল। এছাড়া কর্ণ, জরাসন্ধ, কীচক এবং বলরাম সেই আমলে মহান কুস্তিবীর হিসেবে বিবেচিত হতেন। রামায়ণেও কুস্তির উল্লেখ আছে। এখানে বীর হনুমানকে সেরা কুস্তিবীর হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
ভারতের বরোদাতে প্রথম কুস্তিচর্চা শুরু হয়। এই খেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন রাজা, রাজন্যবর্গ, জমিদার ও ধনীসমাজ।
আরও পড়ুন-৮ ফেব্রুয়ারি পেশ রাজ্য বাজেট
মহিলা কুস্তির প্রথম চিহ্ন ব্রোঞ্জের এট্রোসক্যান
(এট্রোসক্যান সভ্যতা, ৩৩০ বি সি, Etruscan) মূর্তিগুলিতে প্রর্দশিত হয়, যেখানে দেখা যায় মেয়েরা পুরুষদের সঙ্গে কুস্তি লড়ছে।
১৯৮৭ সালে নরওয়ের লরেনস্কোগ-এ প্রথম বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হয়। এখানে উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত ভারতীয় কুস্তিগিরেরা প্রচুর আন্তর্জাতিক পদক জিতেছেন।
ভারতীয় মহিলাদের কুস্তি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে যাঁর নাম আসবেই, তিনি হলেন হামিদা বানু। ইনি ১৯৪০-’৫০-এর দশকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে এসেছিলেন, যখন এই খেলাটিতে পুরুষদের একচেটিয়া আধিপত্য ছিল। হামিদা বানুর অসামান্য ক্ষমতা, সাহস, চূড়ান্ত দক্ষতা ও জীবনের চেয়ে বড় ব্যক্তিত্ব তাঁকে বিশ্বজোড়া খ্যাতি এনে দেয়। তিনি ঘোষণা করেন, যে পুরুষ তাঁকে কুস্তিতে হারাতে পারবেন, তাঁকেই তিনি বিয়ে করবেন।
অনেকেই বলেন, হামিদা বানু ভারতের প্রথম মহিলা কুস্তিগির, যিনি ভারতবর্ষে এই খেলাটিকে জনপ্রিয় করে তোলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। হামিদার ওজন ছিল ১০৮ কেজি, উচ্চতা ছিল ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। তাঁর দৈনিক খাদ্য তালিকায় ৫.৫ লিটার দুধ, ২.৫ লিটার স্যুপ, ১.৫ লিটার ফলের রস, ১ কেজি মাটন, আধ কেজি মাখন, ৬টি ডিম, ২টি বড় রুটি, ২ প্লেট বিরিয়ানি এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে বাদাম ও বিভিন্ন ফল অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি দিনে ৯ ঘণ্টা ঘুমোতেন এবং টানা ৬ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ তথা অনুশীলনে ব্যয় করতেন। পুরুষ কুস্তিগিরদের তিনি চ্যালেঞ্জ জানাতেন এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জয়ী হতেন। ১৯৫৪ সালে মুম্বইয়ে এক মিনিটেরও কম সময়ে রাশিয়ান কুস্তিগির ভেরা চিস্টিলিনকে পরাস্ত করেন হামিদা। তারপরই তিনি কুস্তি লড়তে ইউরোপে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তখন তিনি ভীষণভাবে ‘বিতর্কিত’ এক নারী কুস্তিগির। এর কিছুদিনের মধ্যেই হঠাৎ করেই হামিদা কুস্তির জগৎ থেকে হারিয়ে যান। উত্তরপ্রদেশের আলিগড় শহরের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। যদিও হামিদা বানুর আদি নিবাস ছিল মির্জাপুরে। রক্ষণশীল পরিস্থিতির কারণে তিনি মির্জাপুর ছাড়তে বাধ্য হন। তাঁর কুস্তি থেকে হঠাৎ হারিয়ে যাওয়া বা সরে যাওয়ার পিছনেও পুরুষতন্ত্রের ঘৃণ্য কৌশল ও ষড়যন্ত্রকে অনেকেই দায়ী করেন। তিনি ছিলেন পুরুষ কুস্তিগিরদের ত্রাস।
আরও পড়ুন-মালদ্বীপকে আর্থিক সাহায্য করবে এবার দেউলিয়া পাকিস্তান! মুইজ্জুকে ফোন আনোয়ারের
এরপর ভারতের মহিলা কুস্তিগির হিসেবে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য নাম সাক্ষী মালিক। ২০১৬ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে তিনি মেয়েদের কুস্তির ৫৮ কেজি ফ্রি-স্টাইল বিভাগে বোঞ্জ পদক জয় করে ইতিহাস রচনা করেন। তিনিই প্রথম ভারতীয় নারী হিসেবে কুস্তিতে অলিম্পিক পদক জয় করেন। ব্রাজিলের রিও-তে অনুষ্ঠিত এই অলিম্পিক ক্রীড়াক্ষেত্রে বিশেষ করে কুস্তির ইতিহাসে ভারতীয় নারীদের মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হওয়ার লড়াইয়ের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন।
এ ছাড়াও এশিয়ান গেমস, এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ, কমনওয়েলথ গেমস, বিশ্ব (সিনিয়র ও জুনিয়র) চ্যাম্পিয়নশিপ ইত্যাদি প্রতিযোগিতায় কৃতিত্বের সঙ্গে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন সাক্ষী। প্রচুর পদকও জেতেন। বর্তমান সময়ের ভারতীয় কুস্তিতে উল্লেখযোগ্য নাম ভিনেশ ফোগট, ববিতা কুমারী, গীতা ফোগট প্রমুখ। প্রথম ভারতীয় নারী কুস্তিগির হিসেবে বুলগেরিয়ার সোফিয়ায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-২০ কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে সাড়া ফেলে দেন ১৭ বছরের মেয়ে অন্তিম পাঙ্গল। হরিয়ানার মেয়ে অন্তিম ৫৩ কেজি বিভাগে এই নজির গড়েন। তার আগেরবার এই প্রতিযোগিতায় তিনি জিতেছিলেন ব্রোঞ্জ। বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে ৫৭ কেজি বিভাগে রৌপ্যপদক জয় করেন আনশু মালিক। এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় নরওয়ের অসলোয়। এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন আনশু আরও অনেক পদক জিতেছেন।
ভারতের তারকা কুস্তিগির ভিনেশ ফোগট সার্বিয়ার বেলগ্রেডে অনুষ্ঠিত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে জোড়া পদক জিতে ইতিহাস রচনা করেন। ২০২২ সালে কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জেতেন তিনি এবং জাকার্তা এশিয়াডেও সোনার পদক জয় করেন। বাংলায় ‘কুস্তির আখড়া’ কথাটা বহুকাল ধরে প্রচলিত। ‘সত্যি বলছি কুস্তি করে তোমার সঙ্গে পারবো না’, কিংবা ‘ছায়ার সঙ্গে কুস্তি করে গাত্রে হলো ব্যথা’ ইত্যাদি কবিতার লাইন হিসেবে খুবই জনপ্রিয় বাঙালিদের কাছে। বাংলায় ‘আখড়া’ (কুস্তি) সংস্কৃতির প্রবর্তক হিসেবে কুস্তিগির অম্বিকাচরণ গুহ কিংবদন্তি। আরেক কিংবদন্তি ‘গোবর গোহ’, যাঁর আসল নাম যতীন্দ্রচরণ গুহ ভারতীয় কুস্তিগির হিসেবে বিশ্ববিখ্যাত ছিলেন। যে সময় মেয়েরা ছিলেন পরদানশিন, সেই সময়েও কুস্তির চর্চা চলত বাংলার ঘরে ঘরে। ব্রিটিশ ভারতে স্বাধীনতা সংগ্রামীরা কুস্তির চর্চা করতেন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে হয় ভারতীয় তথা বাঙালি কুস্তিগির ও ভারোত্তোলক ‘ভীম ভবানী’, যাঁর আসল নাম ছিল ভবেন্দ্রমোহন সাহা, কুস্তিকে জনপ্রিয় করে তুলতে যাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
আরও পড়ুন-রাজ্যকে জল জীবন মিশন প্রকল্পের ১ হাজার কোটি টাকা দিল কেন্দ্র, মুখ্যমন্ত্রীর চাপের কাছে নতিস্বীকার
উল্লেখ্য, বাংলার কন্যা শ্বেতা দুবে, কুস্তির লড়াইয়ে যিনি একসময় টানা রাজ্যসেরা হয়েছেন, এখন জাতীয় স্তরের রেফারির সম্মান লাভ করেছেন। বস্তুত, তিনিই কুস্তিতে বাংলার প্রথম মহিলা রেফারি।
মনে রাখতে হবে, মূলত ১৯৮০ ও ১৯৯০-এর দশক জুড়ে সারা পৃথিবীতে মহিলাদের কুস্তির উত্থান ঘটেছিল। এই সময়কালে মহিলারা বিভিন্ন স্তরের কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে পদক জিততে শুরু করে। মহিলাদের জন্য এই সময়কালেই কুস্তির জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি হতে থাকে। ১৯৮৮ সালে শিলা ওয়েগার অলিম্পিকে প্রথম মার্কিন মহিলা রেফারি হিসেবে সম্মান লাভ করেন। পরের বছর, আফসুন রোশান জামির ইউএসএ রেসলিং-এ প্রথম ব্রোঞ্জ পদক জয় করেন। একইসঙ্গে এশিয়া ডি উইজ এবং লিয়া কাওয়াই দুটি রৌপ্যপদক জয় করেন। ১৯৯২ সালে প্রথম মার্কিন মহিলা কুস্তিগির হিসেবে ফ্রান্সে মহিলাদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে গোটা বিশ্বের নজর কাড়েন ট্রিসিয়া সন্ডার্স। এছাড়াও তিনি ২০০৬ সালে একজন বিশিষ্ট সদস্য হিসেবে জাতীয় রেসলিং হল অফ ফেম-এ অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রথম মহিলা হিসেবে সম্মানিত হন। কুস্তি দারুণ বৈচিত্র্যপূর্ণ খেলাগুলোর অন্যতম। এই খেলার রয়েছে নানান শৈলী, রয়েছে নানা প্রকার এবং ভিন্ন ভিন্ন শৈলীর ভিন্ন ভিন্ন নিয়মকানুন। ফ্রি-স্টাইল, জুডো, গ্রিক-রোমান, সামবো, ফোকস্টাইল, ক্যাচ, সুমো, সাবমিশন, পালোয়ানি (পেহলওয়ানি), সুয়াই যাও প্রভৃতি নামের কুস্তির অনেক প্রকারভেদ আছে। গ্রিজ কুস্তি বা তেল কুস্তি হল তুরস্কের জাতীয় খেলা। এছাড়াও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না থাকলেও ভৌগোলিক অবস্থান ও অঞ্চলভেদে বিভিন্ন লোককুস্তি খুবই জনপ্রিয়।
বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে পদক বিজয়িনীদের তালিকায় যেসমস্ত ভারতীয় কুস্তিগির রয়েছেন তাঁরা হলেন, অলকা তোমর, ববিতা ফোগট, গীতা ফোগট, পূজার ধান্দা, ভিনেশ ফোগট, আনশু মালিক, সরিতা মোর, অন্তিম পাঙ্গাল, প্রিয়া মালিক প্রমুখ।
আরও পড়ুন-
২০২২-এ অনুষ্ঠিত বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে দশটি ওয়েট ক্যাটাগরিতে ৫টি সোনা জিতে সারা বিশ্বের চোখ টেনে নেয় ভারতের মেয়েরা। প্রিয়া মালিক, প্রিয়া কাটারিয়া, মুসকান, সবিতা ও হর্ষিতা এই বিরল নজির গড়েন। ২০২৩-এর চিন এশিয়াডে রৌপ্যপদক জয় করেন লভলিনা বরগোহাঁইল।
বিশ্বসংসারে মেয়েদের এগিয়ে যাওয়ার পথ সবসময়ই দুর্গম। বিশেষ করে আমাদের দেশের মতো রক্ষণশীল মানসিকতার দেশগুলোতে। কিন্তু মেয়েরা যে সমস্ত প্রতিবন্ধকতা জয় করে দেশকে সাফল্য এনে দিতে পারে, বিশ্বের দরবারে দেশকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে পারে, তার প্রমাণ বারবার দিয়েছেন ভারতীয় কন্যারা। কুস্তিতে তাঁদের আন্তর্জাতিক সাফল্য গোটা জাতির মানসিকতা পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও আজ দিশারির ভূমিকায়।