ফের সিবিআই বনাম সিবিআই প্রধানমন্ত্রীর দফতরে বিস্ফোরক চিঠি, ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ আধিকারিকের

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন নমোপ্রকাশ মিশ্র।

Must read

প্রতিবেদন : ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সহকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে ইস্তফা দিতে চেয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিলেন সিবিআইয়ের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট নমোপ্রকাশ মিশ্র। যার জেরে ফের একবার প্রকাশ্যে চলে গেল সিবিআই বনাম সিবিআই কুৎসিত দ্বন্দ্ব।

আরও পড়ুন-Election Survey: সমীক্ষা বলছে, আগামী বছর পাঁচ রাজ্যের ভোটে অস্বস্তিতে বিজেপি

প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে নমোপ্রকাশ যা লিখেছেন তা জানলে তাজ্জব হয়ে যেতে হবে। ওই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, আমাদের দফতর নরকে পরিণত হয়েছে। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত আক্রোশের জন্যই শেষ তিন বছর আমাকে কোনও কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এভাবে বসে বসে আমি বেতন নিতে চাই না। তাই আমি পদত্যাগ করতে চাই। তবে আমার আর্থিক পাওনাগণ্ডার কোনও প্রয়োজন নেই।

আরও পড়ুন-

পেনশন, গ্র্যাচুইটির মতো কোনও আর্থিক সুবিধাও আমাকে দিতে হবে না। তার বদলে আমার গ্র্যাচুইটির টাকা আইপিএস অফিসার রামগোপাল গর্গ ও অমিত কুমার এবং পেনশনের টাকা অজয় ভাটনগরকে দিয়ে দিন। কারণ আমার চেয়ে ওঁদের অনেক বেশি অর্থের প্রয়োজন আছে। আমাকে শুধুমাত্র পদত্যাগ করার অনুমতি দিন। চিঠির বয়ানে কৌশলে এভাবেই সহকর্মীদের দুর্নীতির প্রসঙ্গটি উল্লেখ করেছেন সিবিআই আধিকারিক।

আরও পড়ুন-Child Diabetes: শিশুদের ডায়াবেটিস নিয়ে আরও একটু সচেতন হই

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন নমোপ্রকাশ মিশ্র। ওই চিঠিতেও তিনি অজয় ভাটনগরের বিরুদ্ধে ভুয়ো সংঘর্ষের অভিযোগ জানিয়েছিলেন।

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু প্রধানমন্ত্রীর দফতরে নয়, একাধিক সরকারি অফিসেও ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন নমোপ্রকাশ। মজার ব্যাপার, সহকর্মীদের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ তোলার পরেও শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে এখনও পর্যন্ত নমোপ্রকাশের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এই ঘটনাতেই অনেকের প্রশ্ন, তাহলে কি প্রকারান্তরে সিবিআই অফিসারের বক্তব্যের সত্যতাই স্বীকার করল সরকার? এমনকী, ওই চিঠিতে সিবিআই আধিকারিক নাম করে করে যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন, তাঁরাও এখনও পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি। প্রশ্ন উঠছে, দেশের অন্যতম সেরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অন্দরের কঙ্কালসার চেহারাটা বেরিয়ে আসার ভয়েই কি প্রকাশ্যে কেউ কোনও মতামত দিতে চাইছেন না?

Latest article