বিজেপির রোষে দিল্লির বাঙালি মহল্লার মাছ ব্যবসায়ীরা

প্রসঙ্গত, দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কের ১ ও ২ নম্বর বাজার মিলিয়ে মোট ৩০০টি পরিবারের রুটিরুজি জড়িয়ে আছে এই মাছ কেনাবেচার সঙ্গে।

Must read

নয়াদিল্লি : বাঙালি বিদ্বেষ? নবরাত্রিতে বিজেপি পরিচালিত পুর–কর্তৃপক্ষের নিষেধ সত্ত্বেও দোকান খোলা রেখে গেরুয়া শিবিরের ক্রোধের মুখে দিল্লির বাঙালি মাছ ব্যবসায়ীরা। রাজধানী দিল্লির ‘মিনি কলকাতা’ বলে পরিচিত ১ ও ২ নম্বর বাজারের মাছ ব্যবসায়ীদের নোটিশ ধরিয়েছে বিজেপি পরিচালিত পুর–কর্তৃপক্ষ। নোটিশে জানানো হয়েছে, বৈধ লাইসেন্স না থাকলে অবিলম্বে চিত্তরঞ্জন পার্কের মাছ ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে। দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী, খোলাবাজারে আর মাছ–মাংস বিক্রি করতে পারবেন না ব্যবসায়ীরা। অবিলম্বে বন্ধ করে দিতে হবে দিল্লির প্রাচীন বাঙালি মাছের বাজার।

আরও পড়ুন-আরতি কটন মিল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শ্রমিকদের

প্রসঙ্গত, দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কের ১ ও ২ নম্বর বাজার মিলিয়ে মোট ৩০০টি পরিবারের রুটিরুজি জড়িয়ে আছে এই মাছ কেনাবেচার সঙ্গে। রোজগারের একমাত্র পথ আকস্মিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার নোটিশে মাথায় হাত ব্যবসায়ী এবং সহকারীদের। চিত্তরঞ্জন পার্কের ২ নম্বর মাছ বাজারের এক​ ব্যবসায়ী জানালেন, দিল্লি পুরসভা আমাদের বৈধ লাইসেন্সের কথা বলছে কিন্তু বৈধ লাইসেন্স করতে গেলে ১০ ফুট লম্বা এবং ১০ ফুট চওড়া জায়গা দরকার। সেটা এখানে কারওরই নেই। প্রায় ৩০ বছর ধরে আমরা এখানে এইভাবেই মাছের ব্যবসা করে আসছি।

আরও পড়ুন-আইনি পদক্ষেপ করতে পারে পুরসভা, মেট্রোর গাফিলতিতে বুজে যাচ্ছে কালিকাপুর খাল

কর্তৃপক্ষকে লাইসেন্স ইস্যু করতে হলে আমাদের এই জায়গার ওপর ভিত্তি করেই করতে হবে। কারণ নোটিশ দিয়ে রুটিরুজির উপর আঘাত এসেছে শুধুমাত্র চিত্তরঞ্জন পার্কের মাছ ব্যবসায়ীদের ওপরেই। চিত্তরঞ্জন পার্কের মাছ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বৈধ লাইসেন্স একটা অজুহাত মাত্র। এর আগেও বিভিন্নভাবে আমাদের হেনস্তা করার চেষ্টা হয়েছে৷ নবরাত্রির সময়ে মাছের বাজার খোলা রাখাতেই এই কোপ এসেছে৷

Latest article