আর্থিক কেলেঙ্কারির ক’টা মামলা সময়ে শেষ হয়েছে? সিবিআই-ইডির কাজে ক্ষোভ সুপ্রিম কোর্টের

সর্বোচ্চ আদালত প্রশ্ন তুলল, এখনও পর্যন্ত কতগুলি আর্থিক কেলেঙ্কারের মামলা যৌক্তিকতার সঙ্গে শেষ করতে পেরেছে ইডি?

Must read

নয়াদিল্লি : বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলিতে সিবিআই-ইডির বাড়তি তৎপরতার পিছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ উঠেছে বারবার। এবার আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তে বিলম্ব নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে পড়ল এই দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা। সর্বোচ্চ আদালত প্রশ্ন তুলল, এখনও পর্যন্ত কতগুলি আর্থিক কেলেঙ্কারের মামলা যৌক্তিকতার সঙ্গে শেষ করতে পেরেছে ইডি? আদৌ এই সংস্থাগুলি যথাসময়ে তদন্ত শেষ করতে ইচ্ছুক কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

আরও পড়ুন-টি-২০ সিরিজের ফয়সালা আজ, নো বল অপরাধ, অর্শদীপকে তোপ হার্দিকের

বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম আর শাহ এবং সি টি রবিকুমারের বেঞ্চে এক জনস্বার্থ সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। তখনই বিচারপতিদের তোপের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর্থিক কেলেঙ্কারির জট খুলতে সিবিআই, ইডির মতো সংস্থাগুলি আদৌ আন্তরিক কি না সে প্রশ্নও তুলে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তদন্তের নামে অকারণে বহু সময় নষ্ট করা হয় বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন বিচারপতিরা। বিচারপতি এম আর শাহ বলেন, তাঁর নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছেন যে, যখনই কোনও আর্থিক কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত মামলার তদন্তে সিবিআই বা ইডি ঢোকে তখনই তা শেষ হতে অপ্রত্যাশিত বিলম্ব হয়।

আরও পড়ুন-খোরপোশ পাবেন

এরপরই শীর্ষ আদালত সিবিআইকে জানাতে বলেছে, কতগুলি আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলা তদন্ত শেষে যৌক্তিক পরিণতি পেয়েছে? ওড়িশায় চিটফান্ড কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত একটি মামলার তদন্ত চেয়ে করা জনস্বার্থ মামলার শুনানির সময় একথা উল্লেখ করেন বিচারপতি এম আর শাহ। এই মামলায় সিবিআইয়ের কৌঁসুলি আদালতে রিপোর্ট দাখিলের জন্য সময় চান। এই বিলম্বে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারপতি শাহ বলেন, সিবিআই ডিরেক্টরের সময় নেই? কিছু বিষয়কে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিচারপতি শাহ আরও বলেন, আমিও সিবিআইয়ের কাজ করেছি। সেজন্য আমি সব জানি। আমি সেখানে সাড়ে পাঁচ বছর ছিলাম। যদি কিছু দায়ের করতে হয় তবে তা ডিরেক্টরের অনুমতি নিয়ে করতে হয় । এমনকী ছোট ছোট বিষয়গুলিতেও অযথা সময় নষ্ট হয়। এই মানসিকতা আর সিস্টেমের পরিবর্তন করতে হবে।

Latest article