অন্তঃকর্ণ প্রতিস্থাপন ১০০ শিশুর

শুরুটা হয়েছিল ২০১৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর। ২০২২-এর ২৭ জুন ‘শতফুল বিকশিত’ হল।

Must read

প্রতিবেদন : শুরুটা হয়েছিল ২০১৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর। ২০২২-এর ২৭ জুন ‘শতফুল বিকশিত’ হল। বাক ও শ্রবণশক্তি হারানো ফুলের মতো ১০০ শিশু আজ সম্পূর্ণ সুস্থ। বছর পাঁচেক আগে যারা শুনতে পেত না বন্ধুর ডাক, এখন তারা সহপাঠীর সঙ্গে জমিয়ে ঝগড়া করে। কৃতিত্বটা এসএসকেএম হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের চিকিৎসকদের। মূক ও বধির শিশুদের সফল অন্তঃকর্ণ প্রতিস্থাপনের (ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট) পর চিকিৎসকরা তাদের উপহার দিয়েছেন স্বাভাবিক জীবন। প্রথমে চার বছরের একটি শিশুর অন্তঃকর্ণ প্রতিস্থাপন হয়।

আরও পড়ুন-লড়েই জিততে হল জকোকে

এরপর এসএসকেএমের চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় ৮৯ জন স্বাভাবিক জীবন ফিরে পায়। এই শিশুদেরই অভিভাবকদের সূত্র ধরে আরও অসহায় বাবা-মা তাঁদের সন্তানদের আনেন এসএসকেএম হাসপাতালে। সকলেই ফিরেছেন সন্তানের নিশ্চিন্ত ভবিষ্যৎ, আর মুখে হাসি নিয়ে। পরে সুস্থ হয়ে ওঠা শিশুদের সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৯৯। আর ২৭ জুন সোমবার তা হল ১০০। আরও একটি সফল অন্তঃকর্ণ প্রতিস্থাপনের নজির গড়ল এসএসকেএম হাসপাতালের ইএনটি বিভাগ। সুস্থ হয়ে ওঠা প্রত্যেক শিশুদেরই হাসপাতালে অডিটোরিয়ামে হাজির করেন চিকিৎসকরা। ‘সফলতার ১০০’ উদযাপনে ওই শিশুদের কোলাহলে গমগম করে ওঠে হাসপাতাল চত্বর।

আরও পড়ুন-ডিআরএসের দাবি তুললেন মুম্বই কোচও

কেক কেটে, মিষ্টিমুখ করে হয় সেলিব্রেশন। এসএসকেএমের ইনএনটির বিভাগীয় প্রধান ডাঃ অরুণাভ সেনগুপ্ত বলেন, দুঃস্থ মূক ও বধির শিশুদের অন্তঃকর্ণ প্রতিস্থাপনের পর আমরা স্পিচ ও ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি বিনাপয়সায় করি। রাজ্য সরকার খুব শীঘ্রই ৫০টি ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট বিনাপয়সায় দুঃস্থ শিশুদের দেওয়ার ব্যবস্থা করছে। আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ।

Latest article