আত্মপ্রকাশ ১৫ অগাস্ট, নেতাজি ভাবধারায় জয়হিন্দ বাহিনী

গত ২৩ জানুয়ারি রেড রোডের অনুষ্ঠান থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অবদান স্মরণে রাখতে জয়হিন্দ বাহিনী গঠনের কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Must read

প্রতিবেদন : নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তরুণ প্রজন্মকে তাঁর ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ করতে পড়ুয়াদের নিয়ে জয়হিন্দ বাহিনী গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১৫ অগাস্ট ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে এই বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করবে। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে একথা জানিয়ে দিল রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর।

আরও পড়ুন-রোনাল্ডো আনফিট, ইঙ্গিত কোচের

গত ২৩ জানুয়ারি রেড রোডের অনুষ্ঠান থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অবদান স্মরণে রাখতে জয়হিন্দ বাহিনী গঠনের কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “নেতাজি শুধু বাংলার নয়, গোটা বিশ্বের। আমরা স্কুলে স্কুলে জয়হিন্দ বাহিনী গড়ে তুলব। সব জেলার ছেলেমেয়েদেরই এর অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তাঁদের উন্নততর মানুষ তৈরি করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং আজাদ হিন্দ ফৌজের যে বাহিনী তৈরি করেছিলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, সেই ধরনের পোশাকই আমরা ব্যবহার করব। যাতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাম ও স্লোগান উভয়ই আগামী প্রজন্ম মনে রাখতে পারে, স্মরণ করতে পারে।”

আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে নারী নির্যাতনের নমুনা!

রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে বারাকপুর, কলকাতা, জঙ্গলমহল এবং উত্তরবঙ্গ বাহিনীর এই চারটি ব্যাটালিয়ন তৈরি করা হবে। ওইসব এলাকার প্রতিটি স্কুলে বাধ্যতামূলকভাবে এই বাহিনী গঠন করা হবে। পড়ুয়াদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য নানা ধরনের কর্মসূচির পাশাপাশি সেবামূলক কাজ, বাল্যবিবাহ, পণপ্রথার মতো বিভিন্ন সামাজিক কুপ্রথা রুখতেও জয়হিন্দ বাহিনীর সদস্যদের কাজে লাগানো হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের সঙ্গেও বাহিনীর সদস্যরা সহযোগিতা করবেন। এজন্য কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে জয়হিন্দ বাহিনীর সদস্যদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জেলায় জেলায় জয়হিন্দ বাহিনী গঠন ও পরিচালনার বিষয়টি দেখাশোনা করার জন্য মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে ১৩ জন সচিবের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-মাঙ্কিপক্স মোকাবিলায় টাস্কফোর্স গঠন

নবান্ন সূত্রে খবর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আদর্শে যাতে পড়ুয়াদের বিকাশ ঘটানো যেতে পারে, যাতে তাদের মানসিক ও শারীরিকভাবে আরও উন্নত করে তোলা যায়, তা নিশ্চিত করতেই এই জয়হিন্দ বাহিনী গঠন করা হচ্ছে। মূলত রাজ্যের আগামী প্রজন্মকে সঠিক দিশা দেওয়ার কাজ করবে জয়হিন্দ বাহিনী।

Latest article