গদ্দারদের বিরুদ্ধে সরব কুণাল

মঙ্গলবার হাওড়া গ্রামীণ সাংগঠনিক জেলার উদ্যোগে উলুবেড়িয়া থেকে ফুলেশ্বর পর্যন্ত পদযাত্রা করল তৃণমূল। পদযাত্রার শেষে ফুলেশ্বরে জনসভা।

Must read

প্রতিবেদন: রান্নার গ্যাস থেকে মূল্যবৃদ্ধি, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতি, তৃণমূলের বিরুদ্ধে এজেন্সির ব্যবহার, রাজ্য জুড়ে বিরোধীদের কুৎসার বিরুদ্ধে গর্জে উঠল হাওড়ার মানুষ। মঙ্গলবার হাওড়া গ্রামীণ সাংগঠনিক জেলার উদ্যোগে উলুবেড়িয়া থেকে ফুলেশ্বর পর্যন্ত পদযাত্রা করল তৃণমূল। পদযাত্রার শেষে ফুলেশ্বরে জনসভা।

আরও পড়ুন-ইলিশ কিনতে উপচে পড়া ভিড়

মাত্র ২৪ ঘণ্টার নোটিসে পদযাত্রায় কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি মানুষের উপচে পড়া ভিড়। পদযাত্রায় অংশ নিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়, হাওড়া জেলা (গ্রামীণ) সভাপতি বিধায়ক রাজা সেন, জেলার (গ্রামীণ) চেয়ারম্যান বিধায়ক সমীর পাঁজা, বিধায়ক সুকান্ত পাল, বিদেশ বসু, ডাঃ নির্মল মাজি, প্রিয়া পাল, উলুবেড়িয়ার পুরপ্রধান অভয় দাস, হাওড়া জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য, গুলশন মল্লিক, সুপ্রিয় চন্দ-সহ দলের নেতৃবৃন্দ ও নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা। উলুবেড়িয়া পুরভবন থেকে ফুলেশ্বর বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত বিশাল পদযাত্রার পর ফুলেশ্বরে ছিল বিশাল জনসভা।

আরও পড়ুন-২৪৫০ টন পদ্মার ইলিশ বাংলায়

সভায় বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, একুশের বিধানসভা ভোটে বাংলার মানুষ বিজেপির মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছে। সেই হার সহ্য করতে না পেরে কেন্দ্রীয় সরকার এজেন্সি লাগাচ্ছে। বাংলার প্রাপ্য আটকে রাখছে। বকেয়া টাকা দিচ্ছে না। রাজ্য থেকে টাকা কেটে নিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু রাজ্যের প্রাপ্যও দিচ্ছে না। ভোটে না পেরে ইডি, সিবিআইকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে বিজেপি। নারদার ছবি দেখিয়ে বিজেপি বলেছিল শুভেন্দু টাকা নিয়েছে। সিবিআইয়ের এফআইআরেও ছিল তাঁর নাম। রাজ্যের মন্ত্রী হিসেবেও অনেক কুকীর্তি করছিল। কিন্তু আমাদের নেতা-কর্মীদের কথা মনে থাকলেও শুভেন্দুর কথা তাঁদের মনে পড়ে না। গ্রেফতারি থেকে বাঁচতে বিজেপিতে আশ্রয় নিয়েছে গদ্দার শুভেন্দু। তৃণমূলের দৌলতে ওর বাবা মন্ত্রী হয়েছে, ভাইরা রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। ওটা একটা গদ্দারদের পরিবার। ওঁর মতো নেমকহারাম, বেইমান, গদ্দার আর কেউ নেই। একুশের নির্বাচনে দিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেছিলেন।

আরও পড়ুন-ধানবাদের জনবহুল রাস্তায় ডাকাতদের হামলা, পুলিশের পাল্টা গুলিতে মৃত ১, গ্রেফতার ২

বলেছিলেন ‘আব কি বার, দোশো পার’। এখন বোঝা যাচ্ছে দোশো পার বলতে পেট্রোলের দামের কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ওঁদের মুখে বাংলার মানুষ ঝামা ঘষে দিয়েছে। চাটার্ড ফ্লাইট উড়ে গিয়েছিল। যাঁরা সেই ফ্লাইটে গিয়েছিলেন তাঁরাই এখন রোজ ফিরতে চাইছেন। কুণাল বলেন, দিল্লিতে একটা সরকার শুধু মানুষের ওপর বোঝা চাপাচ্ছে। আর রাজ্যে একটা সরকার বোঝা কমাচ্ছে। এবার আপনাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মনে রাখবেন আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে সব আসনে মানুষের ভোটে জিততে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ৯৯ শতাংশ ভাল কাজ করছে। উন্নয়ন হচ্ছে। স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সবাই পাচ্ছে। তাহলে কেন বিজেপিকে ভোট দেবেন? কেন বিজেপির হয়ে কেউ দাঁড়াবেন? এদিন এই সভায় বিজেপির স্থানীয় কয়েকশো কর্মী-সহ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি তৃণমূলে যোগদান করেন।

Latest article