ইউনেস্কোর স্বীকৃতিতে বাড়তি উৎসাহ মেক্সিকোতে

দশভুজার পটেই হত পুজো। ২০১৭ তাঁরা প্রতিমার একটি ছবি এঁকে মেক্সিকান শিল্পীদের দেন। সিরামিক শিল্পীরা নিখুঁত হাতে তৈরি করেন প্রতিমা।

Must read

অনুরাধা রায়: ভিন্ন ভাষা। অন্য দেশ। কিন্তু তুলির টানের কোনও ভাষা হয় না। শিল্পীর কোনও দেশ হয় না। মেক্সিকোর গুয়াদালাহারার জালিস্কো যার বড় উদাহরণ। এখানে মেস্কিকান সিরামিক শিল্পীদের হাতেই প্রাণ পেয়েছেন মাদুর্গা। শুধু প্রতিমা তৈরিই নয়, বাঙালিয়ানাকে রীতিমতো রপ্ত করেছেন তাঁরা। পুজোর দিনে খিচুড়ি, পায়েস ভোগ রেঁধে মা দুর্গাকে নিবেদনও করেন।

আরও পড়ুন-গরিব প্রকল্পে কোপ

আরতি, ধুনুচিনাচ, সিঁদুর খোলায় আর নানান স্বাদের বাঙালি খাবারে পুজোর ক’টা দিন যেন মনে হয় গোটা বাংলার দুর্গাপুজোই উঠে এসেছে ল্যাটিন আমেরিকার সবচেয়ে উত্তরে প্রজাতন্ত্র মেস্কিকোর গুয়াদালাহারায়। এবার সেখানে আরও ধুমধাম। বাংলার দুর্গাপুজো ইউনেস্কো স্বীকৃতি পেয়েছে তাই জাঁকজমক আরও বেশি। জমিয়ে চলছে তোড়জোড়। কলকাতার বেহালার বাসিন্দা উৎসব দাস কর্মসূত্রে রয়েছেন মেস্কিকোয়। গুয়াদালাহারা দুর্গাপূজা কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা তিনি। জানালেন, বাংলার দুর্গাপুজোর ইউনেস্কোর স্বীকৃতিতে এবার বিশেষ উদযাপন গুয়াদালাহারায়। এখানে ২০১৬ সাল থেকে শুরু হয় দুর্গাপুজো। তখন প্রতিমা ছিল না।

আরও পড়ুন-মাঙ্কিপক্সে প্রথম মৃত্যুর খবর মিলল আমেরিকায়

দশভুজার পটেই হত পুজো। ২০১৭ তাঁরা প্রতিমার একটি ছবি এঁকে মেক্সিকান শিল্পীদের দেন। সিরামিক শিল্পীরা নিখুঁত হাতে তৈরি করেন প্রতিমা। ওই প্রতিমার বিসর্জন দেওয়া হয়নি। রয়েছেন এক প্রবাসি বাঙালি পরিবারে। যেখানে হয় নিত্যসেবা। পুজোর সময় প্রতিমা আনা হয় মণ্ডপে। পুজো কমিটিতে সন্দীপন, ইপ্সিতা, নারায়ণদের সঙ্গে পুজোর আয়োজন করেন লুক্রেসিয়া ওরোজোকোও। মেস্কিকোয় স্প্যানিশ আর বাংলা মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় উমার আগমনে।

Latest article