কুমিরে ভরা খালে মূক-বধির শিশুসন্তানকে ছুঁড়ে ফেলে দিল মা, উদ্ধার ক্ষতবিক্ষত দেহ

তা-ই নিয়ে দিনরাত শুনতে হত স্বামীর গঞ্জনা। লেগে থাকত দাম্পত্য কলহ। তারই এই মর্মান্তিক পরিণতি। স্বামী-স্ত্রী দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Must read

প্রতিবেদন: অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। রাতের অন্ধকারে নিজের ৬ বছরের ছেলেকে কুমিরভরা খালে ছুঁড়ে ফেলে দিল জন্মদাত্রী মা। সন্তানের ‍‘অপরাধ’, সে কথা বলতে পারে না, শুনতেও পায় না। জন্ম থেকেই মূক এবং বধির। তা-ই নিয়ে দিনরাত শুনতে হত স্বামীর গঞ্জনা। লেগে থাকত দাম্পত্য কলহ। তারই এই মর্মান্তিক পরিণতি। স্বামী-স্ত্রী দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন-বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি বাংলায়, জেলায় মৃত্যু হল ৬ জনের

ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের উত্তর কন্নড় জেলার হালামাডি গ্রামে। শনিবার রাতে। যে খালে নিজের সন্তানকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে মা, একটু দূরেই সেই খাল গিয়ে মিশেছে কালী নদীতে— যেখানে হিংস্র কুমিরের অবাধ বিচরণ। গ্রামবাসীদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে রাতের অন্ধকারেই প্রচুর লোকজন জমা হয়ে যায় এলাকায়। পুলিশে খবর যায়। ঝুঁকি নিয়ে জলে নেমে পড়ে স্থানীয়রা এবং পুলিশ। গভীররাতে নামানো হয় ডুবুরিও।

আরও পড়ুন-জিমে ওজন কমাতে গিয়ে ছেলেকেই মেরে ফেললেন বাবা! ভাইরাল ভিডিও ঘিরে চাঞ্চল্য

কিন্তু তন্নতন্ন করে খুঁজেও হদিশ মেলেনি শিশুটির। রবিবার সকালে নদী থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটির ক্ষতবিক্ষত দেহ। একটা হাত ছিল না। দেহের বিভিন্ন অংশে কামড়ের গভীর দাগ। কুমিরের আক্রমণের চিহ্ন স্পষ্ট। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ছেলেটির মা সাবিত্রী পেশায় পরিচারিকা। কাজ করতেন এলাকারই কয়েকটা বাড়িতে। বাবা রবিকুমার রাজমিস্ত্রি। তাঁদের সবমিলিয়ে ৩ সন্তান। বড় ছেলে জন্ম থেকেই মূক ও বধির। তাকে নিয়েই সংসারে দৈনন্দিন অশান্তি। সাবিত্রীর দাবি, স্বামী সবসময়ই বলত, শুধুই অন্ন ধ্বংস করছে বড়ছেলে। তাকে হয় অন্য কোথাও রেখে এস, না হলে ওকে মরতে দাও। শনিবারও এই নিয়ে চরমে ওঠে অশান্তি শেষে মেজাজ হারিয়ে ৬ বছরের সন্তানকে খালে ফেলে দেয় মা। সাবিত্রীর বক্তব্যের সত্যতা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এমন নৃশংস ঘটনায় স্তম্ভিত গ্রামবাসীরা।

Latest article