উপাচার্য নিয়োগ-জট কাটাতে উদ্যোগী রাজ্য

Must read

প্রতিবেদন : উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে স্থায়ী সমাধানসূত্র বের করতে উদ্যোগী রাজ্য। কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেল সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যপাল তথা আচার্যকে সদর্থক ভূমিকা নিতে দেখা গেল না। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) জানান, বৈঠকে ইউনিভার্সিটি লজ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০০৩-এ রাজ্যপালের সম্মতি প্রদান ও আইন অনুযায়ী আচার্য ও শিক্ষামন্ত্রী আলোচনাসাপেক্ষে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করা নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু রাজ্য সেই জট কাটাতে উদ্যোগী হলেও রাজ্যপাল তাঁর পদমর্যাদা বোঝাতেই ব্যস্ত থাকলেন।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ইউজিসির চেয়ারম্যানের নমিনিকে সার্চ কমিউনিটিতে আনার জন্য রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছিল। রাজ্যপাল সহমত প্রকাশ করলে স্থায়ী উপাচার্যদের নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হতে পারে। তাই শিক্ষামন্ত্রী (Bratya Basu) প্রস্তাব দেন, ভবিষ্যতের সংশোধনের জন্য অপেক্ষা করে বর্তমান বিলটিকে আটকে রাখা উচিত নয়, যখন রাজ্যপাল অর্ডিন্যান্সে সম্মতি দিয়ে রেখেছেন। দেশের অন্যান্য রাজ্যের সার্চ কমিটিতে বিভিন্ন সংখ্যক নমিনি রয়েছে। ইউজিসি রেগুলেশনে কেবলমাত্র ইউজিসির চেয়ারম্যানের নমিনির উল্লেখ রয়েছে। সেটাই আমাদের বিলে আনা হয়েছিল। যেহেতু স্থায়ী উপাচার্যদের নিযুক্তির প্রক্রিয়ায় একটু সময় লাগে, সেই কারণেই রাজ্য সরকার পোষিত ইউনিভার্সিটির ক্ষেত্রে অন্তবর্তী উপাচার্যের নিয়ম রাখা হয়েছে। এই নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে আচার্যের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করার কথা। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা না করে এককভাবে অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের নিয়োগ আইনানুগ নয়। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আচার্য সহযোগিতা করলে শিক্ষাক্ষেত্রে ভাল হয়।

আরও পড়ুন- সিএএ মামলার শুনানি ১৯ মার্চ

Latest article