সেবার দীপ জ্বেলে যাচ্ছেন যাঁরা

নার্সদের কঠিন পরিশ্রম, তাঁদের সেবা ছাড়া কোনও রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠা কঠিন। সেই মানুষদের শ্রদ্ধা জানানোর দিন ১২ মে— লেডি উইথ দ্য ল্যাম্প, ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের জন্মদিবস। বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় ওয়ার্ল্ড নার্সিং ডে। তাঁদের নিয়ে কলম ধরলেন আর জি কর হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শ্যামল চক্রবর্তী

Must read

ইংল্যান্ডের ধনী জমিদারের কন্যা ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের জীবন যেন এক রূপকথা। রাশিবিজ্ঞান আর গণিতের মেধাবী ছাত্রী সমাজের সংস্কার নিয়ে কাজ করছেন। আহত, আর্ত, পীড়িতের সেবায় একাই অন্ধকার রাতে আলো হাতে এগিয়ে চলেছেন হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে ওয়ার্ডে। ক্রিমিয়ার যুদ্ধে আহত সৈনিকদের সেবার স্পর্শে যন্ত্রণার উপশম করেছেন এই নারী। থেমে থাকেননি এখানেই। রোগাক্রান্ত মানুষের চিকিৎসায় ডাক্তারদের পাশাপাশি সেবিকা বা নার্সদের ভূমিকা যে কত গভীর ফ্লোরেন্স তা শুধু উপলব্ধি করেননি, অনুভব করেছেন হৃদয় দিয়ে। নার্সিংকে পেশাদারি মর্যাদা দিতে ১৮৬০ সালে লন্ডনের সেন্ট টমাস হাসপাতালে তাঁর উদ্যোগে তৈরি হয় প্রথম স্কুল অফ নার্সিং। গোটা বিশ্বে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেবিকা তৈরি শুরুর জরুরি কাজটি শুধু শুরু করেননি এই মহিয়সী নারী, তাঁর কাজ ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়েছে দেশে দেশে। রোগকাতর রোগীর সেবার কাজে আলাদা করে একটা পেশা গড়ে ওঠার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে চিকিৎসার ইতিহাসে। সেই ‘লেডি উইথ দ্য ল্যাম্প’-এর জন্মদিন আজও সারা বিশ্বে ‘ওয়ার্ল্ড নার্সিং ডে’।

আরও পড়ুন-যুবভারতীতে আই লিগ ফয়সালার ম্যাচ, মার্কাসই আজ বড় ভরসা মহামেডানের

রোগীর চিকিৎসায় ডাক্তার পরীক্ষা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেও, রোগীকে খাদ্য, পানীয়, ওষুধ পৌঁছে দেন সিস্টাররা। ডাক্তার এসে পৌঁছনোর আগে প্রাথমিক চিকিৎসা দরকার হলে তার ব্যবস্থা করেন। শুধু তাই নয়, রোগীর সেবা শুশ্রূষার, মানসিক ব্যথা উপশমের দায়িত্বও সিস্টারদের। প্রশিক্ষণ পাওয়া ধাত্রী তাঁরা, জনস্বাস্থ্য কর্মসূচিতেও অংশ নেন নার্সরা। ফ্লোরেন্স চেয়েছিলেন রোগীর সেবাযত্নের পাশাপাশি রোগ সৃষ্টির মূলে যে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতার অভাব— সেই মূল জায়গাগুলোতেও কাজ করবেন সেবাব্রতীরা। পুরোপুরি না হলেও ‘লেডি উইথ দ্য ল্যাম্প’-এর স্বপ্ন সত্যি হয়েছে অনেকটাই। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসচেতন দেশগুলোতে।

আরও পড়ুন-পরের আইপিএলেও খেলার ইঙ্গিত ধোনির

‘এমন বন্ধু আর কে আছে, তোমার মতো সিস্টার’ গানটা আজও বারবার মনে পড়ে যায়। হাসপাতালে শারীরিক মানসিক ব্যাধি নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগী ডাক্তারকে ‘ভগবান’ ভাবলেও, রোগজর্জর মানুষের কাছে ‘বন্ধু’ একজনই। তিনি সিস্টার। যত্ন আর সেবার স্পর্শ দিয়ে যিনি ভুলিয়ে দিতে জানেন রোগীর ব্যথা। উপসর্গ বাড়লেই যিনি ছুটে আসেন। স্পর্শে, মধুর কথায়, শুশ্রূষায় একজন নার্স শুধু যন্ত্রণার্ত রোগীর পাশে থাকেন না, তাঁর যন্ত্রণার শরিক হয়ে অনেকটাই সাহায্য করেন রোগের উপশমে। সমাজের সত্যিকারের সত্যি বন্ধু হয়ে উঠতে জানেন নার্সিং পেশার সঙ্গে যুক্ত সিস্টাররা।

আরও পড়ুন-দ্য লেডি উইথ দ্য ল্যাম্প

হাসপাতালের ইনডোর ওয়ার্ডে, আউটডোরে, এমার্জেন্সিতে প্রসবঘরে, ওটি-তে, হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে, ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে, অসুস্থ নবজাতকদের জন্য বিশেষ ইউনিটে… সিস্টাররা হাসপাতালে কাজ করে চলেছেন সব জায়গায়। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে শুরু করে জেনারেল হাসপাতাল, মহকুমা হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল : নার্স ছাড়া কোনওটাই চলে না। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে মহানগর, সাগর থেকে পাহাড়, উত্তর থেকে দক্ষিণ, ডাক্তারদের পাশে সিস্টাররা কোথায় নেই! টিকা দেওয়া থেকে ব্লকস্তর থেকে শুরু করে বড় শহরের জনস্বাস্থ্য কর্মসূচিতে অংশ নেন নার্সরা। পোয়াতি ও প্রসূতির যত্ন, পরিবার কল্যাণ কর্মসূচি, পুষ্টি প্রকল্পতেও থাকেন ওঁরা। শুধু ডাক্তার দিয়ে হাসপাতাল চলে না, দরকার হয় নানা ধরনের স্বাস্থ্যকর্মীদের। এই স্বাস্থ্যকর্মীদের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অংশ আমাদের সিস্টাররা।
দু হাজার কুড়ির মার্চে কোভিড অতিমারি আসবার পর থেকে নার্সরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছেন অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী ও ডাক্তারদের সঙ্গে। ত্রস্ত, বিভ্রান্ত কিছু মানুষ এড়িয়ে চলেছেন সিস্টারদের, বার করে দিয়েছেন ভাড়াবাড়ি থেকে। তবু সব বাধা অগ্রাহ্য করে ওঁরা অবিচল থেকেছেন নিজেদের কর্তব্যে। ওঁরা ছিলেন বলেই দুনিয়া জুড়ে আতঙ্কের মাঝেও আমাদের মতো রাজ্যে কোভিড রোগীরা যথাযথ চিকিৎসা পেয়েছেন। বেশিরভাগ কোভিডের রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন হাসপাতাল থেকে। এর বিনিময়ে সমাজ তাঁদের প্রতি যে ব্যবহার করেছে, সেই প্রশ্ন না হয় না-ই তুললাম।

আরও পড়ুন-বিজেপি-সিপিএম চায় বাংলাকে অশান্ত করতে

কোভিড ওয়ার্ডে রোগীর সংস্পর্শে এসে কত নার্স, ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন চিরকালের মতো। কত শিশু হয়েছে মাতৃহারা। মনে পড়ে সমাজমাধ্যমে বারবার ঘুরে বেড়ানো সেই ভিডিও? মা কোভিড ওয়ার্ডে একটানা কাজ করছেন, বাড়ি ফিরছেন না, পাছে তাঁর শিশুটির কোনও ক্ষতি হয়। বাবার কোলে চেপে ছোট্ট মেয়েটি এসেছে মাকে দেখতে। ওয়ার্ডের দরজায় মা, দূরে বাবার কোলে কন্যা। শিশুটি যেতে চাইছে মায়ের কোলে, মায়ের চোখে বইছে অশ্রুধারা। সেই হৃদয়বিদারক ছবি মনে ভেসে উঠলে আজও বুক ভেঙে যায়। মনে পড়ে সেই সিস্টারের করুণ মুখচ্ছবি। দশকের পর দশক জুড়ে আর্ত মানবতার সেবায়, প্রয়োজনে নিজেদের জীবন বিপন্ন করে এভাবে কাজ করে চলেছেন যে সিস্টাররা ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের জন্মদিনে ওয়ার্ল্ড নার্সেস ডে-তে তাঁদের হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দিতে না পারলেও আসুন নাগরিক হিসেবে তাঁদের জানাই হার্দিক কৃতজ্ঞতা।

আরও পড়ুন-সরকারি বোর্ড লাগানো নীল বাতির গাড়ি নিয়ে ভুয়ো জিএসটি অফিসার ধৃত

থিয়েটার বা সিনেমায় মেয়েরা অভিনয় করলে মেয়েদের ‘নষ্ট মেয়ে’ বলত এককালের বঙ্গীয় পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। নৃত্যকলায় পারদর্শীদেরও দেখা হত কুনজরে। ‘নার্স’ শুনলেই নাক সিঁটকাতেন বহু মানুষ। সেই অন্ধকার যুগ পার হয়ে এসেও আজও নার্সিং পেশা যথার্থ সম্মান পায়নি। বাড়িতে গৃহস্থালির প্রায় সব কাজ সামলে হাসপাতালে ছুটতে হয় বেশিরভাগ সিস্টারকে। ছেলেমেয়ে মানুষ করা থেকে সংসারের কাজকর্ম, রোগীর দেখভাল, সেবা ; শ্রান্ত-ক্লান্ত শরীর-মনকে চাঙ্গা করতে বারবার ওঁদের মনেমনে স্মরণ করতে হয় রবি ঠাকুরের ‘ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু’। রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে শুধু ডাক্তাররা নন, সিস্টাররাও রোগীর ভরসা। যদি বলি, এই পেশাটি আজও যথাযোগ্য মর্যাদা পায়নি, ভুল হবে না সে বলায়।

আরও পড়ুন-ঠাট্টা না সত্যি, প্রশ্ন

আমরা ডাক্তারি ছাত্রজীবনে নার্সিং পেশার যে পরিধি দেখেছি, এই পেশার আজ তার চাইতে অনেকটাই বেশি। আগে শুধু এএনএম ও জিএনএম কোর্স পড়ানো হত বড় সরকারি হাসপাতালগুলোতে। একমাত্র পিজি হাসপাতালে চালু হয়েছিল নার্সিংয়ের স্নাতক শিক্ষার কলেজ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মেলাতে জিএনএম কোর্সে আসন অনেক বেড়েছে। বিএসসি নার্সিং পড়ানোর কলেজ এখন রয়েছে সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সাধারণ মানুষ হয়তো জানেন না, প্রতিযোগিতা বাড়তে থাকায় বহুবছর ধরে নার্সিং পড়ায় প্রবেশ করতে গেলে ভাল ফল করতে হয় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায়। ওই পরীক্ষায় ভাল নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি করা হয় নার্সিং পাঠ্যক্রমে। মেধাবী বহু মেয়ে নার্সিং পেশায় এসেছেন, এখনও আসছেন।

আরও পড়ুন-২১ মে লন্ডনে নিলামে উঠছে গান্ধীজির একাধিক জিনিস

এর ফলাফল নিয়ে বলতে গেলে সবদিক ভেবে দেখা জরুরি। মেধাবী ছাত্রছাত্রী ডাক্তার হলেই যেমন ভাল ডাক্তার হবেন এমন কোনও কথা নেই। নার্সিং-এর ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। পাশ করে চাকরি পাবার পর রোগীর বা তাঁর স্বজনদের সঙ্গে ব্যবহারে পেশাদারিত্বর পাশাপাশি মাধুর্য থাকা চিকিৎসা-সংক্রান্ত পেশায় একান্ত জরুরি। জরুরি প্রত্যেক রোগীর সেবাযত্নে যথেষ্ট আন্তরিক হওয়া। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগ গত তিন দশকে লাফ দিয়ে দিয়ে বাড়ছে। বাড়ছে বেসরকারি কর্পোরেট হাসপাতাল। এই সব হাসপাতালগুলো যদি টাকা নিয়ে নার্স তৈরির কলেজ খুলে বসে, সরকারি কলেজে জায়গা না-পেয়ে অনেকেই এসব কলেজে ভর্তি হতে চাইবে। মনে রাখা জরুরি, নার্সিং পড়তে আসা সব মেয়েই উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসে না। কর্পোরেট নার্সিং কলেজে অনেকেই পড়ছেন অনেক কষ্ট করে।

আরও পড়ুন-সরকারি বোর্ড লাগানো নীল বাতির গাড়ি নিয়ে ভুয়ো জিএসটি অফিসার ধৃত

সরকারি হাসপাতালের সিস্টারদের একটা অংশ কেন নিমপাতা-খাওয়া মুখে প্রশ্নের উত্তর দেন, এই প্রশ্ন প্রায়শই শুনতে হয়। রোগীর সংখ্যা বেশি, নার্স কম— এমন যুক্তি ধোপে টেকে না। রোগীর বা তাঁর স্বজনদের সঙ্গে কথায় একটু হাসি, একটু মানবিক হওয়া কঠিন কিছু নয়। বেসরকারি হাসপাতালে চাকরির নিরাপত্তা কম বলেই কি সিস্টারদের একাংশের ব্যবহার নিয়ে তেমন কোনও প্রশ্ন ওঠে না? ভাবার সময় এসেছে। সরকারি হাসপাতাল মানেই গরিব বা নিম্নমধ্যবিত্ত রোগী, তাঁদের সঙ্গে ব্যবহার নিয়ে এত ভাবার কিছু নেই, সিস্টারদের একটা অংশের মধ্যে এমন ধারণা বাসা বাঁধলে মুষ্টিমেয় এই সেবাব্রতীদের হাতে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের সেই মানবিকতার দীপটি নিভে যাবে একদিন, সবিনয়ে মনে করিয়ে দেওয়া।

আরও পড়ুন-দ্বীপরাষ্ট্রে ডামাডোল চলছেই

ভাল, আন্তরিক ব্যবহারের জন্য পরিশ্রম করতে হয় না। শুধু মিষ্টি করে কথা বলাটাকে অভ্যাস বানিয়ে ফেলতে হয়। সামান্য অনুশীলনেই রপ্ত হওয়া যায় এমন অভ্যাসে। আয়াদের কাজ আয়ারা করবেন, সিস্টারের কাজ সিস্টার। প্রত্যের রোগীর দিকে নজর রাখা দরকার হলেই তাঁদের কাছে ছুটে যাওয়া, এমন সেবার ভাবনা থেকেই ঊনবিংশ শতাব্দীর ছয়ের দশকে জন্ম নিয়েছিল এই পেশা। ডাক্তার বা নার্স কেউ টেবিল চেয়ারে বসা খাতা লেখা কেরানি নন। রোগার্ত মানুষের শুশ্রূষাই দুটি পেশার মূল কথা।
ডাক্তার রাউন্ডে এলে সিস্টার সঙ্গে থাকবেন, দরকার হলেই যে কোনও রোগীর তথ্য জোগাবেন চিকিৎসককে, এই ধারাটি যেন লুপ্ত না হয়ে যায়। গ্রামাঞ্চলে কাজ করছেন যাঁরা, তাঁদেরও অনেক ঝক্কি পোহাতে হয়। হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্টরা শুধু নন, আমপানে, ইয়াসে আশাকর্মীরাও টিকাদানে, পোয়াতির পরিচর্যায় কাজ করেছেন নিজেদের সাধ্যকে ছাপিয়ে। এঁদের কথাও যেন ভুলে না যাই। পাশাপাশি বলতে হয় গ্রাম-শহরের ছোট-মাঝারি নার্সিংহোমগুলোতে সামান্য বেতনে কাজ করা প্রশিক্ষণ না-পাওয়া সেবাব্রতী নারীদের কথাও। কোয়াকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার কাজ চালানো গেলে, এই সেবাব্রতীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে গ্রামীণ স্বাস্থ্যের কিছুটা হলেও উন্নতি করা অসম্ভব নয়।
নার্সিং দিবসে সবাই মিলে সব সিস্টারের জন্য মুঠো মুঠো শুভেচ্ছা জানানোর দায় প্রত্যেক নাগরিকের। ‘এমন বন্ধু আর কে আছে…’। ‘লেডি উইথ দি ল্যাম্প’ যে দীপটিকে জ্বালিয়ে দিয়ে গেছেন আজ থেকে দেড়শো বছরেরও বেশি আগে, সেই সেবার অগ্নিশিখাটি নিরন্তর বহন করে নিয়ে চলেছেন যাঁরা, তাঁদের সম্মান জানানোর অর্থ মানবতার পথে রাশি রাশি ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে দেওয়া।

Latest article