ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে জরুরি বৈঠক জলের তলায় চাষের জমি

ব্লকগুলিতে কন্ট্রোল রুম খোলা আছে। দুর্গত এলাকার বাসিন্দাদের তার্পোলিন ও শুকনো খাবার বিলি শুরু করেছে প্রশাসন।

Must read

সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ : একটানা ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অংশ। সোমবার রাত থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে দমকা বাতাস বইতে থাকে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। মঙ্গলবারও দিনভর দফায় দফায় বৃষ্টি হয়। আকাশ মেঘে ঢেকে ছিল। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে জেলার শহরতলি বারুইপুর, মহেশতলা, বজবজ, সোনারপুর, ডায়মন্ড হারবারের একাধিক এলাকা।

আরও পড়ুন-তৃণমূল প্রধানকে রাস্তায় মার বিজেপির

জমা জলে নাকাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। গ্রামীণ এলাকায় ডুবেছে পুকুর ও চাষের জমি। আমন ধান, মরশুমি সবজি ও মাছ চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। মরশুমি সবজির বাগান জলমগ্ন। ঝিঙে, বরবটি, পটল, বেগুন, শসা চাষে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছেন কৃষকরা। সাগরে পানের বরজে জল জমে গিয়েছে। রোদ উঠলে গাছ শুকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে মাটির বাড়িগুলি নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়তে পারে বাড়িগুলি। প্রয়োজনে কাঁচা বাড়ির বাসিন্দাদের ফ্ল্যাড সেন্টার বা কাছাকাছির স্কুলে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে। মাটির বাঁধগুলি দুর্বল থাকায় যে কোনও মুহূর্তে ফাটল দেখা দিতে পারে।

আরও পড়ুন-জনস্বার্থ মামলা

নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর বুধবার থেকে ফের রওনা দেবে ট্রলারগুলি। কিন্তু বারে বারে নিম্নচাপের জেরে লোকসানের মুখে পড়েছেন ট্রলার মালিক থেকে মৎস্যজীবীরা। বেলায় ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে জেলা প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসে। প্রতিটি ব্লকের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। ব্লকগুলিতে কন্ট্রোল রুম খোলা আছে। দুর্গত এলাকার বাসিন্দাদের তার্পোলিন ও শুকনো খাবার বিলি শুরু করেছে প্রশাসন।

Latest article