মুখ্যমন্ত্রী কথা দিলে কথা রাখেন, বুঝেছেন মানুষ, রঘুনাথপুরে ঘটছে নিঃশব্দ বিপ্লব

মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, জঙ্গলসুন্দরী কর্মনগরীতে ৭২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। সরকার পরিকাঠামো গড়ে দিয়েছে।

Must read

সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : রঘুনাথপুর শিল্পতালুকে নিঃশব্দ বিপ্লব ঘটে চলেছে। ফলে এবার শিল্পায়ন নিয়ে প্রচারে একটিও শব্দ উচ্চারণ করতে পারেনি বিরোধীরা। তৃণমূলের দাবি, ভোটের বাক্সে শিল্পায়নের বাস্তব অবস্থা দেখেই রায় দিয়েছেন মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিলে কথা রাখেন, বুঝেছেন তাঁরা। ভোটের পরদিন তাই তৃপ্ত গোটা এলাকা।

আরও পড়ুন-বিজেপি-বাম হার্মাদের আক্রমণ তৃণমূলকে

এদিন এলাকায় দেখা গেল, লছমনপুর গ্রামের কাছে একটি কারখানার সীমানাপ্রাচীর দেওয়ার কাজ শেষের মুখে। চলছে কারখানা নির্মাণের কাজ। মুখ্যমন্ত্রীর জঙ্গলসুন্দরী কর্মনগরীতে খুব দ্রুত গড়ে উঠছে সর্বভারতীয় নামী ইস্পাত শিল্পগোষ্ঠীর (শ্যাম স্টিল) বিশাল কারখানা। প্রায় ৬০০ একর জমিতে ৪৫৯১ কোটি টাকা বিনিয়োগে নির্মীয়মাণ এই কারখানায় প্রত্যক্ষভাবে ১০ হাজার কর্মসংস্থান হবে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্রশাসনিক সহযোগিতা পাচ্ছেন সবক্ষেত্রে। ফলে দ্রুত উৎপাদন শুরু করতে পারবেন তাঁরা।

আরও পড়ুন-ভারী বর্ষণ উত্তরে, দক্ষিণে গরমের অস্বস্তি অব্যাহত

এই শিল্পতালুকেই নিতুড়িয়া থানার দিঘা পঞ্চায়েত এলাকায় শ্রীসিমেন্ট গড়ে তুলছে একটি সিমেন্ট কারখানা। চলতি বছরেই এখানে উৎপাদন শুরু হবে। কারখানায় বিনোয়োগ হচ্ছে ৪০০ কোটি টাকা। এখানে প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হবে ৫০০ জনের।
আর এক শিল্পগোষ্ঠী তাদের তিনটি কারখানা সম্প্রসারণে বরাদ্দ করেছে ৩২২০ কোটি টাকা। ৬০০০ শ্রমিক ইতিমধ্যে কাজ করছেন তাঁদের সংস্থায়।

আরও পড়ুন-তমলুক শহরের সভাপতির ওপর হামলা, সরব তৃণমূল কংগ্রেস

মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, জঙ্গলসুন্দরী কর্মনগরীতে ৭২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। সরকার পরিকাঠামো গড়ে দিয়েছে। এলাকার তরুণ জিতেন্দ্রনাথ গোপ, মহেন্দ্র সাওরা বলেন, একেবারে চোখের সামনে মানুষ শিল্প গড়ে ওঠা দেখতে পাচ্ছেন। মানুষকে তাই ভুল বোঝানোর ঝুঁকি নেয়নি বিরোধীরা।

আরও পড়ুন-রাজ্যে আজ পুনর্নির্বাচন, নজরে সকাল থেকেই লম্বা লাইন ভোটারদের

নিতুড়িয়া তৃণমূল ব্লক সভাপতি শান্তিভূষণপ্রসাদ যাদব বলেন, ইতিমধ্যে এই শিল্পতালুকে ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ হয়েছে। আরও তিনটি নতুন শিল্পগোষ্ঠী শিগগিরই কারখানা গড়ার কাজ শুরু করতে চলেছে। এতে বদলে যাবে এলাকার অর্থনীতি।

Latest article