ডায়েটিকরণ

হাউজ ওয়াইফ থেকে ওয়র্কিং, আজকের কেজো মেয়েদের জন্য নিজের যত্নের বেস্ট অপশন হল ডায়েট। বেড়ে চলা ওজন হোক বা কোনও রোগ, সবেরই ওভারঅল সমাধান হল ডায়েট। ফলে বেশকিছু দেশি, বিদেশি পপুলার ডায়েট ঢুকে পড়েছে গৃহিণীদের কিচেনে। সেই সব নানাধরনের ডায়েট নিয়ে বললেন ডায়াবেটিক এডুকেটর এবং ডায়েটিশিয়ান সোনালী ঘোষ। লিখেছেন শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী

Must read

হাউজ ওয়াইফ থেকে ওয়র্কিং মহিলারা ডিজাইনার ওয়্যার বা মেকআপ নিয়ে যতটা সচেতন, খাওয়া-দাওয়া নিয়ে একেবারেই নয়। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ক্যামেরার সামনে বসে রাশিকৃত খাবার খেয়ে যেসব ফুড ব্লগারদের ভিউয়ার্স তুঙ্গে তাঁরা প্রায় বেশিরভাগ সব গৃহবধূই। শুধু ওজনদার রান্না আর খাওয়া। ফুড চ্যালেঞ্জ, বিয়েবাড়ি, জন্মদিন, পার্টিতে শুধুই খানাপিনার লিস্টি। সকাল থেকে রাত রকমারি পদের সেলিব্রেশন। আবার কয়েনের উল্টো পিঠে রয়েছেন সেই সব মহিলারাও, যাঁরা পরিবারের দেখভাল করতে গিয়ে নিজের পুষ্টির কথাটাই ভুলে যান। সকালে অফিস যেতে গিয়ে স্কিপ হয়ে যায় ব্রেকফাস্ট আর মিটিং, কনফারেন্স অ্যাটেন্ড করতে গিয়ে স্কিপ করে ফেলেন লাঞ্চ কিন্তু উইকএন্ডে চুটিয়ে লেট নাইট পার্টিজ করতে ভোলেন না। এইসব অনিয়মের নিট রেজাল্ট হল শরীরের ফাঁকফোকরে অনিয়ন্ত্রিত মেদ, চোখের কোলে পুরু কালি, ত্বকের বারোটা, অ্যাসিডিটি, কম বয়সেই প্রেশার, সুগার, কোলেস্টেরল। যদিও এখন সুস্থ থাকার হরেক উপকরণ। তবে সবচেয়ে কাছের বন্ধুটি হল ডায়েট। ডায়েটে শুধু ওজন কমে বা বাড়ে না, প্রেশার, সুগার, কোলেস্টেরল, ইউরিক অ্যাসিড, ফ্যাটি লিভার ইত্যাদি সবরকম রোগও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

আরও পড়ুন-পৌষের শুরুতেই এল শহরে জাঁকিয়ে শীত

আসলে ডায়েটের মূল অংশ হল তাঁর ক্লিনিক্যাল পার্ট। কারণ প্রত্যেকটা রোগের জন্য ডায়েট রয়েছে আর প্রত্যেক মেয়েরই কিছু না কিছু শারীরিক সমস্যা থাকে কম বা বেশি, সেই সঙ্গে থাকে মেদ। ধরে নেওয়া যায় যিনি খুব গ্যাস, অম্বলে ভোগেন তাঁর ওজন কমানো বা বাড়ানোর ডায়েট চার্ট, কারও থাইরয়েড রয়েছে বা ইউরিক অ্যাসিড বেশি, ফ্যাটি লিভার রয়েছে, সেক্ষেত্রে সেই রোগের অনুযায়ী ডায়েট চার্ট তৈরি করতে হয়। কাজেই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া ডায়েট করা ক্ষতিকর। ডায়েট নানাধরনের হয়। সবটাই রোগা অথবা মোটা হওয়ার জন্য নয়।

আরও পড়ুন-পৌষের শুরুতেই এল শহরে জাঁকিয়ে শীত

থেরাপিউটিক ডায়েট
থেরাপিউটিক ডায়েট হল রোগ অনুযায়ী ডায়েট। এটাই কিন্তু সর্বপ্রথম ডায়েট হিসেবে প্রচলিত ছিল। তখন আধুনিক ডায়েটগুলো তৈরি হয়নি। হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস, রেনাল প্রবলেম, গ্যাস্ট্রোর সমস্যা কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ, ক্যানসার এই সব নানা ধরনের রোগ অনুযায়ী যে পথ্য দেওয়া হয় সেটাকেই বলা হয় থেরাপিউটিক ডায়েট। যেমন ডায়াবেটিসের রোগীর জন্য ডায়াবেটিক ডায়েট, যাঁর কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ রয়েছে তাঁর সল্ট এবং ফ্যাট রেস্ট্রিকটেড ডায়েট, যাঁর গ্যাস্ট্রোর সমস্যা রয়েছে তাঁকে হেপাটিক ডায়েট দেওয়া হয়,ক্যানসারের রোগীকে হাই প্রোটিন ডায়েট দেওয়া হয়। কিডনি সমস্যার ক্ষেত্রে রেনাল ডায়েট। এর মধ্যে ডায়ালিসিস চললে একধরনের ডায়েট। যাঁর অপারেশন হয়েছে পরবর্তীতে বাড়ি ফিরে লিক্যুইড ডায়েট ফলো করতে পারেন। লিক্যুইড ডায়েট কিছুটা থেরাপিউটিক ডায়েটের মধ্যেই পড়ে।

আরও পড়ুন-গেরুয়া রং নিয়ে বিজেপি ঘৃণ্য রাজনীতি করছে

ডেলিভারির পর ওজন কমানোর ডায়েট
সন্তান জন্মের পর মায়েদের ওজনটা বেড়ে যাওয়া কমন বিষয় কারণ তখন বাচ্চার পুষ্টির জন্য বেশি করে খেতে হয়। এই ওজন ছ’মাস থেকে একবছর পর্যন্ত থাকেই কিন্তু তারপরেও ওজন বাড়তে থাকলে সচেতনতা দরকার। কারণ এই সময় ধরে যেতে পারে উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ওয়র্কিং মাদারের অফিস শুরু হয়ে যায়। তখন অতিরিক্ত ওজন নিয়ে ঘর-বার সামলাতে গিয়ে হাঁসফাঁস দশা হয়। এই সময় মেদ জমে বিশেষ করে কোমর, পেট অর্থাৎ শরীরের নিম্নাংশে। কারও কারও পুরো শরীরেই মেদের পাহাড়। মায়েদের ল্যাকটেশন পিরিয়ডটাই বেস্ট ডায়েট করার সময় কিন্তু কেউই তা করে না। বেবি ফিড করে তখনও তাই খেয়াল রাখতে হবে ডায়েটের সঙ্গে পুষ্টিটাও যাতে পুরোপুরি শরীর পায়। এক্ষেত্রে একবারে বেশি না খেয়ে বারে বারে খেতে হবে। অন্তত দিনে চার থেকে পাঁচবার। লো কার্ব, হাই প্রোটিন ডায়েট ভাল এই সময়। ভাত বা ঘি, মাখন এগুলো না খেয়ে একটা প্রপার পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ডায়েট চার্ট মেনটেন করতে পারে। ফল, নুন ছাড়া বাদাম, দই, প্রোটিন বার খাওয়া যেতে পারে। খালি পেট রাখা চলবে না এবং বেশি করে জল খাওয়া জরুরি। এতে মাতৃদুগ্ধের পরিমাণ বাড়বে।

আরও পড়ুন-দুই চ্যানেলে নতুন দুই

পিশপ্যাশ ডায়েট
এই ডায়েট হাইপারটেনশন রোগীকে দেওয়া হত অনেক আগে। সম্পূর্ণ নুন ছাড়া হয় ডায়েট, যার বিশেষ প্রচলন এখন আর নেই৷
লো কার্ব হাইপ্রোটিন ডায়েট
ফ্যাট রেস্ট্রিকটেড ডায়েট বা ওয়েট লস ডায়েট। অনেকে এই ডায়েটকে লো কার্ব হাইপ্রোটিন ডায়েটও বলে। এই ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট কম করে প্রোটিনকে একটু বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ঘরোয়া খাবার-দাবার দিয়েই ওজন কমানো হয় কোনও সাপ্লিমেন্ট ছাড়াই। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ডায়েটে সিরিয়ালস একদমই রাখা হয় না।
টাইম রেসট্রিকটেড ফিডিং
এই ধরনের ডায়েটে দিনে আট থেকে দশ ঘণ্টা যা খুশি খেয়ে নেওয়া এবং বাকি বারো ঘণ্টা না খাওয়া। এক্ষেত্রে ওই না খাওয়ার ফলে ক্যালরি কমে যাবে, ওজনও কমবে।

আরও পড়ুন-আজ নবান্নে বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী

ইন্টারমিট্টেন্ট ফাস্টিং
খুব জনপ্রিয় একটি ডায়েট হল ইন্টারমিট্টেন্ট ফাস্টিং। এতে একটা সাইকল অর্ডার মেনে ডায়েট করা হয়। যেমন ১৬:৮ পদ্ধতি অর্থাৎ সারাদিনে ৮ ঘণ্টার খাবার খাওয়া এবং বাকি ১৬ ঘণ্টা উপোস করা। অর্থাৎ রাত ৮টায় যদি লাস্ট খাবারটা খাওয়া হয় তাহলে ডিনারের তখন থেকে ১৬ ঘণ্টা গ্যাপ দিয়ে আবার খেতে হবে। তবে যখন খাবেন তা যেন সুষম ও স্বাস্থ্যসম্মত হয়। ইন্টারমিট্টেন্ট ফাস্টিং আরও দুটো রেশিওতে হয় ৫:২ পদ্ধতি অর্থাৎ সপ্তাহে পাঁচদিন খেয়ে বাকি দু’দিন না খাওয়া। এই পদ্ধতিকে বলা হয় ফাস্ট ডায়েট। ওজন কমানোর জন্য এটা ভাল। এতে খিদে কমে যায়। এই পদ্ধতিতে উপোস ভাঙার পর তাঁকে জল দিয়ে খাওয়া শুরু করতে হবে। তার একঘণ্টা পর গ্রিন টি, তার দু’ঘণ্টা পর লাঞ্চ অর্থাৎ এক, দু’ঘণ্টার গ্যাপে খেতে হবে। আট ঘণ্টার এই খাদ্যতালিকায় খুব ভারী কিছু থাকবে না। তবে যাঁদের কোনওরকম শারীরিক সমস্যা নেই তাঁরাই একমাত্র ইন্টারমিট্টেন্ট ফাস্টিং করতে পারে। কারণ গ্যাস, অম্বল থাকলে এই ডায়েট উল্টো ফল দেবে। হাইপারটেনশন বা ডায়াবেটিক রোগী কখনওই করতে পারবে না কারণ খাবারে অনেকটা লম্বা গ্যাপ থাকে।

আরও পড়ুন-তাঁতশিল্পীরা কেন্দ্রীয় সরকারের ভ্রান্ত নীতির শিকার, প্রতিবাদ

কিটো বা কেটোজেনিক ডায়েট
কিটো ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট বাদ থাকে, শুধু খানিকটা হাই প্রোটিন এবং বেশি মাত্রায় ফ্যাট জাতীয় খাবার খেতে হয়। ফ্যাট যখন আমাদের দেহে বিপাক হয় তখন ওটা কিটন বডিতে ভাঙে। কিটন বডি থেকে শুধু এনার্জি যায় শরীরে। চটজলদি ফ্যাট ঝরিয়ে নির্মেদ শরীর পেতে এই ডায়েটের জুড়ি নেই। কেটোসিস প্রক্রিয়ায় শরীরে সঞ্চিত ফ্যাট বার্ন করে কিটো ডায়েট। তবে যাঁরা প্যানক্রিয়াটাইটিস, লিভার, কিডনি, বা অন্য মেটাবলিজমের সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের জন্য এই ডায়েট নয়। বাটার ক্রিম, পনির, বাদাম, মাছ, ডিম সবই থাকে এই ডায়েটে। এই ডায়েটে অনেক সময় কোলেস্টেরল বেড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। জিনগত কোনও সমস্যা থাকলে বা উচ্চমাত্রায় ডায়াবেটিস থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সদ্য মা হয়েছেন যাঁরা বা ব্রেস্ট ফিড করাচ্ছেন যে মা তাঁদের জন্য এই ডায়েট উপযুক্ত নয়।

আরও পড়ুন-গঙ্গাসাগর মেলা: ২১ডিসেম্বর প্রস্তুতি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী

ক্রাশ ডায়েট
অত্যন্ত কম ক্যালরিযুক্ত ডায়েট। যা খুব দ্রুত ওজন কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।
এই ডায়েটে হঠাৎ করে খাওয়ার পরিমাণ এবং খাবারের ধরন বদলে যাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকারক হতে পারে তাই ডায়েটেশিয়ানের তত্ত্বাবধানে করুন।
মেডিটেরেনিয়ান ডায়েট
সাধারণত মেডিটেরেনিয়ান রিজিওনে যে ধরনের খাদ্য পাওয়া যায় তাই দিয়ে এই ডায়েটের খাদ্যনিয়ন্ত্রণ তালিকা করা হয়। এই ডায়েটে খাবারে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল অ্যাড করা হয়।
পালেও ডায়েট
আমাদের দেশে খুব প্রচলিত নয় এই ডায়েট, তবে, বিদেশে বহুল জনপ্রিয়। এটি মূলত আনপ্রসেসড ফুডকে কেন্দ্র করে করা হয় যা ওজন কমাতে বেশ কার্যকরী ।
ভেগান ডায়েট
এটি গোটা বিশ্বজুড়ে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। যা প্রাণিজ সবধরনের খাদ্য, এমনকী দুধ, মধুকে বাদ দিয়ে তৈরি করা হয়। ভেগানরা মনে করেন প্রাণিজ খাদ্যের চেয়ে উদ্ভিজ্জ খাদ্য শরীর মনের সুস্থতার জন্য জরুরি।
ডিটক্স ডায়েট
এই ডায়েটে শরীরে যে টক্সিন বা দূষিত পদার্থ জমা হয় সেগুলোকে পরিষ্কার করা হয়। যেমন যেসব খাবারের অত্যধিক প্রিজারভেটিভ রঞ্জক পদার্থ থাকে সেগুলোকে খাদ্যতালিকা থেকে একদম বাদ দেওয়া হয় আর বেশি পরিমাণে ডিটক্স জ্যুস, ডিটক্স ওয়াটার অথবা কিছু সাপ্লিমেন্ট ডায়েটে যোগ করা হয়। তবে যদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত জল খাওয়া হয় তাহলে শারীরিক ক্ষতি হতে পারে। যেমন হাইপোন্যট্রিমিয়া (সোডিয়াম লেভেল কমে যাওয়া) দেখা দেয়।
গ্লুটেন-ফ্রি ডায়েট
যাঁরা গম বা গম জাতীয় খাদ্য সহ্য করতে পারে না খেলে পেটের সমস্যা দেখা দেয় বা সিলিয়ার ডিজিজের ক্ষেত্রে এই জাতীয় খাবার খাওয়া যায় না। তখন তাঁদের জন্য গ্লুটেন-ফ্রি ডায়েট তৈরি করা হয়। কারণ গমের মধ্যে থাকে গ্লুটেন।
ল্যাকটোজ-ফ্রি ডায়েট
অনেকেরই জন্ম থেকে দুধ খেলে সমস্যা হয়। অনেক বাচ্চার ইদানীং এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে। তাঁরা আসলে দুধে থাকা ল্যাকটোজ সহ্য করতে পারে না যাকে বলে ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স। তখন দুধ বা দুগ্ধজাত দ্রব্য বাদ দিয়ে তাদের ডায়েট তৈরি করা হয়।
জ্যুস ফাস্টিং ডায়েট
এই ডায়েটে শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা হয় ফল এবং সবজির জ্যুসের মাধ্যমে তাই এই ধরনের ডায়েটও না জেনে করা বিপজ্জনক।
ফ্ল্যাক্সিটেরিয়ান ডায়েট
এই বছরের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ডায়েট প্ল্যান। ফ্ল্যাক্সিটেরিয়াম মানে ফ্লেকসিবল এবং ভেজিটেরিয়ান। একে সেমি ভেজিটেরিয়ান ডায়েটও বলে। এই ডায়েট প্ল্যানে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন বেশি থাকে তবে প্রাণিজ প্রোটিন অর্থাৎ মাছ, চিকেন, ডিম, দুধ সম্পূর্ণ বাদ না দিয়ে মাঝে মাঝে ইচ্ছে হলে অল্প পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে। এই ডায়েটে যেমন সহজে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায় তেমনই হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধের শক্তি বৃদ্ধি করে।

আরও পড়ুন-এমপি কাপ: হ্যাটট্রিক ইসরাফিল ও সহদেবের

ভেজিটেরিয়ান ডায়েট
বিভিন্ন ধরনের ভেজিটেরিয়ান ডায়েট হয় যেমন ল্যাক্টো ভেজিটেরিয়ান, ফ্রুটারিয়ান ভেজিটেরিয়ান, ল্যাক্টো ওভো ভেজিটেরিয়ান, ওভো ভেজিটেরিয়ান, পেলেও ভেজিটেরিয়ান এবং সেমি ভেজিটেরিয়ান। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় ল্যাক্টো ওভো এবং ওভো ভেজিটেরিয়ান ডায়েট। এই ডায়েট শুধুমাত্র দুধ, ডিম এবং মধু এই তিনটে প্রাণিজ প্রোটিন দিয়ে তৈরি করা হয়।
হোল থার্টি ডায়েট
এই ডায়েট প্ল্যানে তিরিশ দিন শুধু গোটা খাদ্যশস্য খেতে হবে। চিনি, অ্যালকোহল, দানাশস্য এবং দুগ্ধজাত দ্রব্য এমনকী ডালজাতীয় দ্রব্যও কিছু ক্ষেত্রে বাদ দেওয়া হয়। এটি পদ্ধতিগত ভাবে খুব স্বাস্থ্যকর ডায়েট নয়।
ব্লাড টাইপ ডায়েট
এই ডায়েট কোনও ব্যক্তির ব্লাডগ্রুপ কী তার উপর নির্ভর করে তৈরি করা হয়। এটা আবিষ্কার করেছিলেন ন্যাচারোপ্যাথ মিস্টার পিটার জে ডি অ্যাডামো। তাঁর মতে আমরা যে খাবারটা খাই সেটা আমাদের রক্তের গ্রুপের সঙ্গে বিক্রিয়া করে। সেই কারণে উনি চার ধরনের রক্তের গ্রুপের (A, AB, B, O) মানুষের জন্য আলাদা আলাদা করে খাদ্যতালিকা প্রস্তুত করেন যাতে মানবদেহ তা সহজেই হজম করতে পারে। এই ডায়েট প্ল্যানে বিপাকীয় হার ঠিক থাকে, ফলে রোগমুক্ত সুস্থ জীবন নির্বাহ করা যায়।

Latest article