মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে ৩০ লাখ মানুষের চিকিৎসা

এককথায় বলতে গেলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর নেতৃত্বে সুন্দরবন এলাকার সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার সুফল পাচ্ছেন।

Must read

সুমন তালুকদার, বসিরহাট: উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সীমান্ত শহর বসিরহাট। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বসিরহাটের স্বাস্থ্য পরিষেবা উচ্চতায় পৌঁছিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ক্রিটিক্যাল রোগ ছাড়া বসিরহাট জেলা ও সুপার স্পেশালিটি হাসাপাতাল থেকে রোগী রেফার কার্যত প্রায় বন্ধ। ক্যান্সার রোগের ডিটেকশন, কেমোথেরাপি, ২৪ ঘণ্টা ডায়ালেসিস, সিটি স্ক্যান, সহ একাধিক রোগের চিকিৎসা সহ চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা দিনরাত নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে চলেছে।

আরও পড়ুন-শ্রেয়ার ঘােষালের নামে প্রতারণা

ফলে বসিরহাট মহকুমার সাতটি ও স্বরূপনগর নিয়ে মোট আটটি বিধানসভার এলাকার অর্থাৎ বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। আর এই কর্মকাণ্ডের পেছনে নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন বসিরহাট দক্ষিনের চিকিৎসক বিধায়ক সপ্তর্ষি ব্যানার্জি। জন্মলগ্ন থেকে বসিরহাটের বাসিন্দা এই চক্ষু-কিৎসক জানান, বাম জামানায় এই বিস্তীর্ণ সুন্দরবন এলাকার মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বসিরহাটের স্বাস্থ্য পরিসেবা আমূল পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। বাম জামানায় হাসাপাতালটি ৮০ শয্যার ছিল। তৃণমূল জামানায় বসিরহাট জেলা হাসপাতাল ও সুপার স্পেশালিটি এই দুটি হাসাপাতাল বসিরহাটের মানুষের সেবায় নিয়োজিত। দুটি হাসপাতালের মোট শয্যাসংখ্যা তিনশো।

আরও পড়ুন-বহরমপুরে রাতে কড়া নিরাপত্তা

এর মধ্যে রয়েছে সিসিইউ ৩০, কোভিড কেয়ার ইউনিট ৭০, এনআইসিইউ বা এসএনসিইউ ২০ শয্যা। তিনি আরও বলেন, যেহেতু দুটি হাসপাতালই বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা এলাকার মধ্যে তাই একজন চিকিৎসক বিধায়ক হিসেবে আমার দায়িত্ব অনেক। সেই লক্ষ্যেই মধ্যমগ্রামে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একাধিক বিষয় নিয়ে আর্জি জানাই। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সেই আবেদনে সাড়া দেওয়াতে আজ ২৪ ঘণ্টা ধরে ৭টি ডায়ালেসিস মেশিন কাজ করছে। বিনামূল্যে মানুষের ক্যান্সার ডিকেশান করা হচ্ছে। পাশাপাশি কেমোথেরাপির মতো পরিষেবাও দেওয়া হচ্ছে হাসপাতাল থেকে। সিটি স্ক্যান, ডিজিটাল এক্সরে, রক্তের কম্পোনেন্ট পৃথকীকরণ ইত্যাদিও চলছে বসিরহাট হাসপাতালে। এককথায় বলতে গেলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর নেতৃত্বে সুন্দরবন এলাকার সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার সুফল পাচ্ছেন।

Latest article